ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে নতুন করে একটি বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও সংরক্ষণকেন্দ্র লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, এই হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে তেহরানে চালানো আরেকটি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলি শাদমানি নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।
এদিকে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চরম চাপের মুখে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ না এলে এই ব্যবস্থায় তারা সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ দিন টিকতে পারবে।
এক অনামা মার্কিন সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের এখন বেছে নিতে হবে, কোনটি প্রতিহত করা হবে আর কোনটি নয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এরইমধ্যে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র এফি ডেফরিন এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরায়েল বর্তমানে বহু ফ্রন্টে হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা যখন ইরান থেকে আসা হুমকি মোকাবেলা করছি, তখন গাজায় তাদের মিত্র হামাসের সঙ্গেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি হামলা ১৭ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে। এতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরএইচ