কয়েকদিনের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার পর ধীরে ধীরে ইরানে ফিরছে ইন্টারনেট সংযোগ। তীব্র উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকা পরিবারগুলো এখন নতুন করে যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে।
তেহরান থেকে প্রকাশিত সরকারি ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজের বরাতে দেশটির তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট’ সংযোগ অল্প সময়ের মধ্যে পুরোপুরি পুনঃস্থাপন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় সপ্তাহের শুরুতে। একযোগে মোবাইল ফোন ও অনলাইন যোগাযোগব্যবস্থা অচল করে দেওয়া হয়, যা প্রায় ৯ কোটির বেশি মানুষকে কার্যত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
তেহরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইসরায়েলি সাইবার হুমকি মোকাবিলার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইরানজুড়ে যখন আতঙ্ক, তখন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের পরিবার বা বন্ধুদের সম্পর্কে কোনো খোঁজ নিতে পারেননি। তারা বেঁচে আছেন কিনা সেটিও তাদের জানা ছিল না।
প্রবাসী ইরানিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসটাইমে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
একজন প্রবাসী ইরানি টুইটারে লেখেন, চারদিন পর মায়ের কণ্ঠ শুনে কেঁদে ফেলেছি। এতদিন শুধু ভয় আর অজানা আতঙ্কে ছিলাম।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতাকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে ইরান সরকার এখনো বলছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ সুরক্ষার স্বার্থেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্থিতিশীল। ধীরে ধীরে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ওয়াই-ফাই সংযোগ ফিরে আসছে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে। তবে অনেক গ্রামীণ এলাকায় এখনো কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমজে