যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান আবার কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরবে কি না, এমন প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, এ মুহূর্তে ইরানকে আলোচনায় ফেরার কথা বলাটা অর্থহীন।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইস্তানবুল সফরে তিনি এ কথা বলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনীতির মধ্যেই ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, তখনই ইসরায়েল এসে পুরো প্রক্রিয়া ধ্বংস করল। আবার, মাত্র দুই দিন আগে জেনেভায় ইউরোপীয়দের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছিল, তখন এবার যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই পুরোটা উড়িয়ে দিল।
আরাগচি বলেন, তাই আলোচনাকে যারা ধ্বংস করেছে, তারা ইরান নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র। তারা কূটনীতিকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা প্রমাণ করেছে—তারা কূটনীতির উপযোগী নয়, তারা শুধু শক্তি ও হুমকির ভাষা বোঝে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, কূটনীতির পথ সবসময় খোলা থাকা উচিত, তবে এই মুহূর্তে সেটা আর বাস্তব নয়। আমার দেশ হামলার শিকার, আগ্রাসনের শিকার, তাই আমাদের বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার অনুযায়ী জবাব দেওয়ার প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষমার অযোগ্য লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে আরাগচি বলেন, ট্রাম্প শুধু ইরানকেই নয়, নিজের সমর্থকদেরও ধোঁকা দিয়েছেন।
তিনি তো নির্বাচিত হয়েছিলেন ‘চিরকাল যুদ্ধ’ বন্ধ করার অঙ্গীকার করে। কিন্তু এখন তার নেতৃত্বেই আবারও মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতির অপব্যবহার করেছে, আর তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতায় আজকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এতদিন দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছিল। সবশেষ এই সংঘাতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরএইচ