ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন।
তিনি জানান, এই হামলা ছিল বহুস্তরভিত্তিক একটি সামরিক পরিকল্পনার অংশ এবং এটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল কেইন বলেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এই অভিযানে অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান, যেগুলো শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টার যাত্রা শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
তিনি জানান, এই অভিযানে বিভ্রান্তিমূলক কৌশল ও ছদ্মবেশী হামলার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বি-২ বোমারু বিমানের নিরাপত্তায় হাই-স্পিড সাপ্রেশন ফায়ার ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়, যেন ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হতে না পারে।
জেনারেল কেইন বলেন, আমরা কোনো প্রকার গুলি চালানোর ইঙ্গিত পাইনি ইরানের পক্ষ থেকে। তারা আমাদের দেখতেও পারেনি। ইরানের কোনো যুদ্ধবিমান ওড়েনি। মনে হচ্ছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আমাদের শনাক্ত করতে পারেনি।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ইরানে গত রাতের বিমান হামলা ছিল দেশটির পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্যে চালানো একটি পরিকল্পিত অভিযান।
পেন্টাগনে ওই ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।
১৩ জুন প্রথমে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এতদিন দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছিল। সবশেষ এই সংঘাতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরএইচ