ঢাকা, সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জুন ২০২৫, ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পুতিন কী ভূমিকা রাখতে পারেন? 

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪০, জুন ২৩, ২০২৫
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পুতিন কী ভূমিকা রাখতে পারেন? 

পুতিন একদিকে যখন একটি যুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে জড়িত, তখন তিনি আরেকটি সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখতে চান। এটা এক ধরনের বিপরীতধর্মী অবস্থান।

তবে সেটা বাদ দিলেও, তিনি চাইলে বা যদি তাকে সুযোগ দেওয়া হয়, কিংবা ইরান যদি সেটা চায়, তবে তার একটি ভূমিকা অবশ্যই থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি এক ধরনের সাম্যতা তৈরি করতে পারেন—একদিকে যেমন আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, অন্যদিকে থাকবে ইরান ও রাশিয়া।

এবং এটি একটি কার্যকর সূত্র হতে পারে, যার মাধ্যমে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্র যেমন ইসরায়েলের উপর প্রভাব বিস্তার করবে, তেমনি রাশিয়া ইরানের উপর চাপ প্রয়োগ করবে এবং এইভাবে একধরনের সংযোগ বা যোগাযোগের পথ খুলে যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সাম্যতা তৈরিতে ট্রাম্পের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি বরং ইরানকে দমন ও আদেশ দেওয়ার পন্থায় আছেন, এবং ইসরায়েলকে তাদের যুদ্ধ “জিতে নেওয়ার” সুযোগ করে দিচ্ছেন।

এদিকে ক্রেমলিন নিশ্চিত করেছে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (২৩ জুন) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, খুব সম্ভবত ইরান এখন ট্রাম্পকে কিছু ছাড় দিতে প্রস্তুত এবং এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পুতিনকে যুক্ত করতে চায়।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার তীব্র নিন্দা করেছে, যদিও ক্রেমলিন আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

পুতিন আগেই বলেছেন, রাশিয়া এই সংঘাতে সামরিকভাবে জড়াবে না, কারণ তারা ইউক্রেনে নিজস্ব সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। তার মতে, এই সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই।

রাশিয়া বহু বছর ধরে ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে এবং চলমান এই সংঘাতের শুরু থেকেই একই অবস্থানে রয়েছে। রাশিয়ার বক্তব্য ইসরায়েলকে ঘিরেও অত্যন্ত সতর্ক। কারণ, বর্তমানে ইসরায়েলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়া থেকে আসা প্রায় ১৫ লাখ রুশভাষী বাসিন্দা রয়েছে। পুতিন ইসরায়েলকে প্রায়শ “রুশভাষী দেশ” বলেই আখ্যা দিয়েছেন।

এদিকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালিয়ে খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি।  

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প, যিনি এক সময় নিজেকে শান্তিদূত হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, তিনিই এখন আমেরিকার জন্য নতুন একটি যুদ্ধপর্ব শুরু করেছেন।

সূত্র: আল জাজিরায় প্রকাশিত সাংবাদিক মারওয়ান বিশারা ও ইউলিয়া শারাপোভার বিশ্লেষণ অবলম্বনে

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।