কাতার থেকে একের পর এক খবর আসছে, আর হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা।
১০ দিন আগে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ প্রায় প্রতিদিনই বৈঠকে বসছে।
এবারের বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি। এটি কেবল এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিই নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) অগ্রবর্তী সদর দপ্তরও।
মাত্র কয়েক দিন আগেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সপ্তাহান্তের হামলার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান ঘাঁটিটির টারমাক থেকে সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছিল।
গত মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেছিলেন।
সেসময় সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার অগ্রাধিকার হলো সংঘাতের ইতি টানা, নতুন সংঘাত শুরু করা নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের মিত্রদের রক্ষায় প্রয়োজনে মার্কিন শক্তি প্রয়োগ করতে আমি কখনোই পিছপা হব না। ’
সোমবারের হামলার পর প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ইরানের যেকোনো প্রতিশোধমূলক হামলার জবাব আরও বহুগুণ শক্তি দিয়ে দেওয়া হবে’।
যদিও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেই মনে হচ্ছে, তবুও প্রেসিডেন্টকে পাল্টা হামলা চালিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁর হুমকি অন্তঃসারশূন্য নয়। আর এ জন্য তিনি তীব্র চাপের সম্মুখীন হবেন।
এইচএ/এমজেএফ