ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছেন, তবে হোয়াইট হাউস এখনো পর্যন্ত ওই চুক্তির কাঠামো সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রুথ সোশাল-এ দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এতে লক্ষ লক্ষ চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও লেখেন, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ১৫% হারে প্রতিদানমূলক শুল্ক দেবে, যা তার পূর্বে প্রস্তাবিত ২৫% শুল্কের তুলনায় অনেক কম।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সম্প্রতি চুক্তিটি নিশ্চিত করেছেন এবং দেশটির প্রধান বাণিজ্য আলোচক তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন এবং সেখানে “মিশন অ্যাকমপ্লিশ” হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন।
তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরও যেসব প্রশ্ন রয়ে গেছে, তা অতীতের অন্যান্য চুক্তির মতোই—যেগুলো পরে বিলম্বিত বা পরিবর্তিত হয়েছে।
১৫% হারে শুল্ক নির্ধারণের মাধ্যমে এই চুক্তি জাপানের ওপর আরোপিত আগের শুল্কের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস নির্দেশ করে।
চলতি মাসে টোকিওতে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, যদি ১ আগস্টের আগে নতুন কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তবে জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই হার ছিল তার তথাকথিত "মুক্তি দিবস" অর্থাৎ ২ এপ্রিল ঘোষিত ২৪% শুল্কের চেয়েও ১ শতাংশ বেশি।
এপ্রিলের ওই শুল্ক পরিকল্পনায় বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ছিল, তবে বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। এই বিরতিটি টোকিওর বাণিজ্য প্রতিনিধিদের ওয়াশিংটনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার সময় করে দেয়।
যুক্তরাস্ট্র থেকে জাপানের আমদানিও কম নয়। ২০২২ সালে জাপান ছিল মার্কিন কৃষিপণ্য ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের চতুর্থ বৃহত্তম একক রপ্তানি বাজার, যার মূল্য ছিল প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার।
ওই বছর, যুক্তরাষ্ট্র ছিল জাপানের খাদ্য ও কৃষিপণ্যের সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী। এরপরই অবস্থান ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ডের।
জাপান একইসঙ্গে মার্কিন গরু ও শুকরের মাংসের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ছিল, যার সম্মিলিত মূল্য ছিল আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, মার্কিন ভুট্টার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারও ছিল জাপান, যার মূল্য ছিল ৩.৩ বিলিয়ন ডলার।
এমএম