ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তেহরান তাদের কাছে ‘বশ্যতা’ স্বীকার করুক, কিন্তু ইরানি জনগণ এমন অপমান কখনোই মেনে নেবে না। রোববার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।
এদিন এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, তারা চায় ইরান আমেরিকার অনুগত হোক। কিন্তু ইরানি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে এমন ভ্রান্ত প্রত্যাশার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যেই তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের বলে আমেরিকার বিরুদ্ধে স্লোগান না দিতে… সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে—তারা কেবল বাহ্যিক দিকটাই দেখে। এ সমস্যার কোনো সমাধান নেই।
ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো শুক্রবার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সীমিত করার পূর্ণাঙ্গ আলোচনা পুনরায় শুরুতে সম্মত হয়। ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি হুঁশিয়ারি দিয়েছে—ইরান আলোচনায় না ফিরলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ফের চালু হতে পারে। মঙ্গলবার বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে।
খামেনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা ও ইসরায়েলের এজেন্টরা ইরানের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মার্কিন আধিপত্য প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
পশ্চিমা শক্তি মনে করে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, যদিও তেহরান দাবি করে কর্মসূচি কেবল বেসামরিক। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প সরকার সরে এসে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
২০২৫ সালের জুনে ষষ্ঠ দফা আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে আলোচনা ভেস্তে যায়। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই তেহরান-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিছিন্ন রয়েছে।
আরএইচ