গণআন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। গত মঙ্গলবার পদ ছাড়ার পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেশন-জেডের (জেন-জি) তরুণ বিক্ষোভকারীরা প্রথমে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে আন্দোলনকারীদের ডাকে কোনো সাড়া দেননি বালেন্দ্র। ফলে এখন তার বদলে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে চান তারা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ বিক্ষোভকারীর অংশগ্রহণে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠে আসে। আলোচনায় সুশীলা কার্কির নামেই সর্বাধিক সমর্থন মেলে বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।
একজন বিক্ষোভকারী নেপালি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা বালেন্দ্র শাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি। তাই আমাদের আলোচনা অন্যদিকে মোড় নেয় এবং শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগই সুশীলা কার্কির নামের পক্ষে মত দেন।
তবে সুশীলার নামের পাশাপাশি আরও কয়েকজন সম্ভাব্য নেতৃত্বের প্রস্তাব এসেছে আলোচনায়। এর মধ্যে ছিলেন নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং, তরুণ নেতা সাগর ঢাকাল ও ধারান শহরের মেয়র হার্কা সামপাং।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় ইউটিউবার র্যান্ডম নেপালির নামও কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তালিকায় থাকা অন্যরা দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালে তবেই তিনি রাজি হবেন।
যদিও জেন-জি প্রজন্ম সুশীলা কার্কির নাম সামনে এনেছে, তবু তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সহজ নয়। আন্দোলনকারীদের আহ্বানে সাড়া দিলে প্রথমে তাকে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সমর্থন পেতে হবে। এরপর প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে।
এমজে