ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৫ বছর পর ভুপাল গ্যাস ক্ষেত্র বিপর্যয়ের রায় হতে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১২ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১০

ভুপাল : গ্যাস ক্ষেত্রের ছিদ্র দিয়ে বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে কিনা সেব্যপারে দীর্ঘ ২৫ বছর পর রায় দিতে যাচ্ছে ভারতের ভুপাল শহরের একটি আদালত।

ভুপালের ইউনিয়ন কর্বাইডের ওই দুর্ঘটনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে দেখা হয়।

১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কারখানা থেকে ৪০ টন বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে আশপাশের বস্তিগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করেছে ওই ঘটনায় কয়েকদিনের মধ্যে ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তাছাড়া বিষাক্ত গ্যাসের ভয়ানক প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে কীটনাশক তৈরীর কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। ১৯৯৮ সালে মধ্য প্রদেশ সরকার কারখানাটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। তবে পরিবেশবাদীরা বলছে ঘটনাস্থলে এখনো বিষাক্ত দ্রব্যের অস্তিত্ব রয়েছে।

১৯৮৭ সাল থেকে ডজনখানেকেরও বেশি বিচারক মামলার শুনানি গ্রহণ করেছেন। ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনে। অভিযুক্তদের মধ্যে ইউনিয়ন কার্বাইডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওয়ারেন আন্ডারসনও রয়েছেন। অপরাধ প্রমানিত হলে দোষীদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে।  

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯৬ সালে ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির পরিমাণ কমিয়ে দুই বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন।

ভুপালের মানবাধিকার কর্মী আব্দুল জব্বার বলেন, আদালতের রায়ে দোষী হলে অভিযুক্তরা দুই বছর কারদণ্ড ভোগ করে পার পেয়ে যাবে এটা জানার পর সবাই ুব্ধ।

আজও সেই গ্যাসের প্রভাব মানুষের উপর রয়েছে। ভুপালে এখনো জন্ম প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক। মানুষ ক্যান্সার, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন দীর্ঘ মেয়াদী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষই নন, দুর্ঘটনা বহু বছর পর যাদের জন্ম হচ্ছে তারাও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

ইউনিয়ন কার্বাইড ২০ বছর আগে সরকারকে ২৮২ মিলিয়ন ডলার ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়:১৫৪৮ ঘন্টা,০৭ জুন, ২০১০
এসআইএস/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।