ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুছে যাচ্ছে শিশুটির বুকের শয়তানের চিহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৪
মুছে যাচ্ছে শিশুটির বুকের শয়তানের চিহ্ন মায়ের কোলে শিশু স্যামুয়েল

চার বছরের শিশু স্যামুয়েলের বুকে শয়তানের চিহ্ন দেখে ভেঙ্গে পড়েছেন তার বাবা-মা। উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের জন্যই।

মা শ্যারন লুইস ও বাবা রবি জোনস রাতে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই চিহ্নটি দেখতে পান। ভগ্ন হৃদয় শ্যারন, ৩৭, বললেন ‘এটি একটি দুঃস্বপ্নের মতো। অনেকেই বলছে এটি হচ্ছে ‘ম্যামোনের‘ চিহ্ন। শয়তানের প্রথম জন্মদাগ। তবে তিন সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে সেটি মুছে যেতে শুরু করেছে স্যামুয়েলের বুক থেকে।

অস্বাভাবিক কিছু একটা স্যামুয়েলের শরীরে ঢুকে পড়ে এই চিহ্ন এঁকে দিয়েছে, বলেই মনে করছেন মা শ্যারন।

সবশেষ যেদিন ছেলেকে গোসল করিয়ে দেন এবং ঘুম পাড়ান সেদিনও এমন কোনো চিহ্ন স্যামুয়েলের শরীরে ছিলো না, জোর দিয়ে বলেন মা শ্যারন।

Samuel_2পরের দিন ছেলে নিজেই স্কুলের পোশাক পরে স্কুলে যায়, আর সেই রাতেই তারা ছেলের বুকে চিহ্নটি দেখতে পান।

শ্যারন বলেন, কাপড় খুলে ফেলেই দেখি বুকের ওপর দুটি বৃত্ত যার মাঝখানে একটি ক্রস। ছেলের কাছ জানতে চাই কোথাও পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে কিনা। কিন্তু উত্তরে স্যামুয়েল এমন কিছু ঘটেনি বলেই জানায়।

আয়নায় সে নিজেও চিহ্নটি দেখে কিন্তু এর কারণ কিছুই বলতে পারে না।

প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলাম ঘুমানোর সময় কোনো খেলনা বুকের নিচে চাপা পড়ে এমন দাগ হতে পারে, কিন্তু তেমন কিছু হয়নি বলেই নিশ্চিত করে স্যামুয়েল, বলেন তার মা।

ত্বকে কোনো ইনফেকশন কিনা সেটা জানতে স্যামুয়েলকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছেও নেন তার বাবা-মা।

মা শ্যারন বলেন, যখন চিকিৎসক জানান কোনো র‌্যাশ বা ইনফেকশনও নয় এটি, তখন আমরা সত্যিই ভয় পেয়ে যাই।

স্কুলে শিক্ষকদের কাছেও বিষয়টির কোনো ব্যাখা পাওয়া গেলো না।

এরপর মা শ্যারন ছেলের বুকের একটি ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে জানতে চান কিসের দাগ হতে পারে এটি।

শরীরের রহস্যজনক বিভিন্ন চিহ্ন নিয়ে পরিচালিত ওয়েবসাইট ঘেঁটেও দেখেন তিনি। সেখান থেকেই জানা যায় এটি শয়তানের চিহ্ন।

তবে যে যাই বলুক বাস্তবে বিষয়টি কি তা আমরা বের করতে চাই, বলেন শ্যারন।

Samuel_3আগের সম্পর্ক থেকে আরও দুই সন্তানের মা শ্যারন। একজন জো, ১৬, ‍ অন্যজন হান্না, ১০। বললেন, ‘পুরো বিষয়টিই যেনো দুঃস্বপ্নের মতো। ’

সায়েন্স ফিকশন ফিল্মগুলোতেই এমন ভয়াবহ কিছু সাধারণত দেখা যায়। আমাদের পারিবারিক জীবনে এমন কিছু ঘটার কথা নয়।   এখন আমরা ঘরে আলো জ্বালিয়ে ঘুমাই। আর স্যামুয়েল প্রায়শঃই বিছানা ছেলে আমার আর রবির বিছানায় চলে আসে, বলেন শ্যারন।

তবে আনন্দের কথা শিশুটির বুক থেকে মুছে যেতে শুরু করেছে শয়তানের চিহ্নটি। রবি বললেন, এখন খুব হালকাভাবেই বোঝা যায় ওখানে একটি দাগ ছিলো। তবে তিন সপ্তাহ সেটি স্পষ্ট দেখা গেছে।

২০০৫ সালে নির্মিত কিনু রিভসের ছবি কনস্ট্যানটাইনে এই চিহ্নটির ব্যবহার রয়েছে। একজন সাধু দুঃস্বপ্নের পর তার হাতে চিহ্নটি এঁকেছিলেন।

কথিত আছে ম্যামন নরকের সাত রাজপুত্রের একজন। ক্রস চিহ্নটি তারই প্রতীক। ভয়াবহ লোভাতুর শয়তান হিসেবেই পরিচিত এই ম্যামন।

 

শিশুর বুকে শয়তানের চিহ্ন!

বাংলাদেশ সময় ১৪১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।