ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নওয়াজ উৎখাতে জেনারেলদের ‘না’ করেন সেনাপ্রধান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪
নওয়াজ উৎখাতে জেনারেলদের ‘না’ করেন সেনাপ্রধান!

ঢাকা: পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও আওয়ামী তেহরিকের (পিএটি) নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সেনাবাহিনীর পরবর্তী ‘পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য যথেষ্টই ছিল। ওই বিক্ষোভ আরেকটু জোরদার হলেই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার সেনাবাহিনীর হাতে উৎখাত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারতো।



সেনাবাহিনীর একজন ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এমন শঙ্কার খবরই জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রভাবশালী ১১ কোর কমান্ডারদের মধ্যে ৫ জনই নওয়াজ সরকারকে চাপে ফেলে পদত্যাগে বাধ্য ক‍রার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দৃঢ়তায় শেষরক্ষ‍া হয়েছে পাক গণতন্ত্রের।  

সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ ওই মন্ত্রীর মতে, সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের পিটিআই ও বিতর্কিত আধ্যাত্মিক নেতা তাহির উল ক্বাদরির পিএটির বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে আগস্টের শেষদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন শীর্ষ জেনারেলরা।

চার ঘণ্টব্যাপী বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রবিরোধী হস্তক্ষেপের প্রস্তাব জেনারেলদের পক্ষ থেকে উঠে আসায় পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আবারও ব্যাহত হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।

কিন্তু সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ সিদ্ধান্ত নিয়ে জেনারেলদের জানিয়ে দেন, এখন বেসামরিক সরকারকে হটানোর সময় নয়। সব অচলাবস্থাই রাজনীতিক ক্ষেত্রেই নিরসন হতে হবে, অন্য কোনো পন্থায় নয়।

এরপরই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, তারা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর এবং কোনো ধরনের অভ্যুত্থানের শঙ্কা নেই।

সেনাবাহিনীর ভেতরকার স্পর্শকাতর বিষয় তুলে ধরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মন্ত্রী বলেন, ইমরান-ক্বাদরিদের বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত ৫ জন শীর্ষ জেনারেল নওয়াজ সরকারকে হটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভ আরও ঘনীভূত হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো।

এ ধরনের বৈঠকের কথা রয়টার্সের কাছে স্বীকার করেছে সেনাবাহিনীর দু’টি ঘনিষ্ঠ সূত্রও।

একজন জ্যেষ্ঠ  নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, সেনাপ্রধান রাহিল সরাসরি হস্তক্ষেপে আগ্রহী নন। আপাতত কোনো ট্যাংক শাসনভারে আসছে না। সেনাবাহিনী সমঝোতায়ই বিশ্বাস করে।

পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং গত রোববারের (৩১ আগস্ট) একটি বৈঠকের কথা নিশ্চিতও করেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

সেনাবাহিনী একক ও অনড় শক্তি মন্তব্য করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে বলেন, বড় কথা হলো তারা এখনও গণতন্ত্রের পক্ষে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।