ঢাকা: কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঐতিহাসিক ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের দীর্ঘ ৫০ বছরের বৈরিতার অবসান হচ্ছে।
ওবামা বলেন, পাঁচ দশকের মধ্যে কিউবার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির এটিই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। তিনি কয়েক মাসের মধ্যে কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার কথাও জানান।
ওবামা ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কিউবা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, বন্দিদের মুক্তি, টেলিযোগাযোগ খাতে উন্নয়ন এবং ৫৪ বছরের পুরোনো বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানান।
দুই দেশ থেকে বন্দিদের মুক্ত করার ঘোষণাকে ইতিবাচক বলছেন ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এই কাতারে যোগ দিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও।
পোপ ফ্রান্সিস বারাক ওবামা ও রাউল ক্যাস্ট্রোকে এক বার্তায় ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ জানান।
আর্জেন্টিনায় বৈঠকরত ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতারা দুই দেশের পদক্ষেপকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ উল্লেখ করেছেন। বুধবার তারা সম্মেলন চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার ঘোষণা শোনার পর আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেরাল্ডো মুনোজ, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন পৃথকভাবে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানান।
তবে দুই দেশই দেশের অভ্যন্তরে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। কিউবার ভিন্ন মতালম্বীরা প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর যেমন সমালোচনা করেন তেমনি রিপাবলিকানদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বারাক ওবামা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪