নাম: তালেবান
বার্ষিক লেনদেন: ৪০ কোটি ডলার
অঞ্চল: আফগানিস্তান ও পাকিস্তান
অর্থের উৎস: মাদক উৎপাদন ও পাচার (বিশেষত আফিম ও হেরোইন), চাঁদা ও কর, আর্থিক সহায়তা ও অনুদান।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠা।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সুন্নি ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী আফগানিস্তান রাষ্ট্র পরিচালনা করে পশতুনভাষী মৌলবাদী রাজনৈতিক সংগঠন তালেবান। ক্ষমতা গ্রহণের পরই এটি আফগানিস্তানে শরিয়া আইন জারি করে। আইন জারির মাধ্যমে নারীদের বোরখা পরে গৃহবন্দি থাকার পাশাপাশি কন্যা শিশুদের স্কুলে যেতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালেবান। যারা এই আইন লঙ্ঘন করতো তাদের ধরে নিয়ে মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামের প্রধান স্কয়ারে গুলি করে হত্যা করা হতো। গান বাজনা নিষিদ্ধের পাশাপাশি যাদের দাঁড়ি ছোট ছিল তাদের বেত্রাঘাত করা হতো তালেবানি শাসনে। টুইন টাওয়ারে হামলার আগ পর্যন্ত তালেবানকে আল কায়েদার সহযোগী বলে অভিযুক্ত করা হতো। ৯/১১-এর পর তালেবান নেতারা পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে, এখন সেখান থেকেই চোরাগোপ্তা হামলা-আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
কাবুলের মসনদ হারানোর পর তালেবান মাদক উৎপাদন ও পাচারের বিশাল চক্র গড়ে তোলে। আফিম উৎপাদন এরা এতোই বাড়িয়ে দেয় যে, আফগানিস্তান বিশ্বের সর্ববৃহৎ আফিম উৎপাদক হয়ে যায়। বছরে এই মাদক পাচর থেকে তালেবানের আয় ১০-৩০ কোটি ডলারেরও বেশি। তবে অর্থে বিদেশি সহায়তার ক্ষেত্রটি সবসময়ই গোপন রেখেছে তালেবান। সিআইএ’র এক প্রতিবেদন মতে, বছরে অন্তত ১০ কোটি ডলার সহায়তা বা অনুদান পেয়ে থাকে তালেবান, এসব অর্থ বিশেষত আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকেই। এছাড়া, স্থানীয় শস্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ওপর নানারকমের কর আরোপ করে অর্থ আয় করে তালেবান জঙ্গিরা।
জানুন ষষ্ঠ ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ১৫ কোটি ডলার লেনদেন আল-কায়েদার
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪