ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৫ নারীর দীর্ঘজীবন রহস্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
৫ নারীর দীর্ঘজীবন রহস্য

ঢাকা: দীর্ঘায়ু সম্পর্কে মানুষ সব সময়ই কৌতুহলী। কীভাবে একজন মানুষ একশ বছরের বেশি সময় ধরে বাঁচতে পারেন, সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ কারো কম নেই।

একশ বছরের বেশি সময় ধরে এখনো জীবিত রয়েছেন এমন পাঁচ নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য।

এই পাঁচজনই অষ্টাদশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

বিশ্ব ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই ঘটেছে তাদের জীবদ্দশায়। যেমন- প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, রাশিয়া ও আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধ, উড়োজাহাজের উন্নয়ন, টেলিভিশনের আবিষ্কার, এমনকী ইন্টারনেটের আবিষ্কারও তাদের জীবদ্দশাতেই হয়েছে।     

এই শতবর্ষীদের কাছেই তাদের দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য পাওয়া গেছে। কী সেই কারণ, যার জন্য তারা এই দীর্ঘ জীবন লাভ করেছেন! এখনো তারা জীবিত রয়েছেন!

এই পাঁচ নারী সাংবাদিকদের কাছে যে মত দিয়েছেন, তাহলো- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকা, প্রতিদিন ব্যায়াম করা এবং পছন্দের খাবার খাওয়া তাদের দীর্ঘায়ু হতে সহযোগিতা করেছে।

এ ছাড়া আরো একটি কারণের কথা তারা বলেছেন। আর তাহলো, তাদের ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রোজেন তাদের হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা দিয়েছে।   আর এ কারণে একজন নারী দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হতে পারেন।

দীর্ঘ জীবন লাভকারী পাঁচ নারী হলেন- সুসাননাহ মুশাত জোনস (১১৫ বছর)। তিনি ১৮৯৯ সালের ৬ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন।

মিসাও ওকাওয়া (১১৬ বছর) ১৮৯৮ সালের ৫ মার্চ জাপানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বে সবচেয়ে বয়স্ক নারী।

গার্ট্রুড ওয়েভার (১১৬ বছর) বিশ্বে দ্বিতীয় ও আমেরিকায় প্রথম দীর্ঘজীবন লাভকারী। তিনি ১৮৯৮ সালের ৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন।     

১১৫ বছর বয়সী ইমমা মোরানো ১৮৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর ইটালিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠ মানুষ।

১১৫ বছর বয়সী টেরি জেরা‍লিন ১৮৯৯ সালের ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।