ঢাকা: ভারতের মোদী সরকারের প্রথম বাজেট উপস্থাপিত হলো দেশটির পার্লামেন্টে। শনিবার অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি এই বাজেট উপস্থাপন করেন।
নতুন বাজেট ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি সঞ্চারে সহায়ক বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নতুন বাজেটে শুল্ক হার বাড়ানোয় দাম বেড়েছে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার।
ফলে নিম্ন আয়ের মানষ, চাকরিজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য তেমন কোনো সুখবর নেই এই বাজেটে।
মধ্যবিত্তদের হতাশ করে ব্যক্তিগত কর ছাড়ের সীমানা আড়াই লাখ রুপিতেই আটকে রাখলেন অরুন জেটলি।
নতুন বাজেটে দাম বেড়েছে অনেক কিছুরই। এর ফলে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পেতে আগের থেকে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে ভারতের জনসাধারণকে। বাড়বে শিক্ষা খরচও। এছাড়া ফোন করতে এবং হোটেল রেঁস্তোরায় খাওয়াদাওয়া করতেও খরচ বেশি হবে।
সিগারেটে শুল্ক এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় খরচ আরও বাড়ছে ভারতের ধূমপায়ীদের।
তবে সুখবর রয়েছে ভারতের বড় ব্যবসায়ী ও ধনীদের জন্য। কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে নতুন বাজেটে।
সরকারের দাবি এর ফলে ব্যবসায়ীরা ভারতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। বাড়বে কর্মসংস্থান। অপরদিকে সমালোচকরা বলছেন মোদী সরকারের ধনী বান্ধব নীতির প্রতিফলন ঘটাতেই কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে আনা হয়েছে।
বাজেটে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু সামগ্রীর দাম বাড়ানোয় খরচ বেশি পড়বে বাড়ি বানাতে। এছাড়া দাম বেড়েছে কোমল পানীয়, ইন্টারনেট সেবা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, গাড়ি, কুরিয়ার সার্ভিস স্বাস্থ্য সেবা, বিউটি পার্লার এবং বিমান ভ্রমণ সেবার।
দাম কমেছে শুধু চামড়া জাত পণ্যের। তবে গাড়ি ও দুই চাকার যানের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে।
সব মিলিয়ে ভারতীয় সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগণের জন্য মোদী সরকারের নতুন বাজেট কোনো আশার বাণী বয়ে আনতে পারেনি বলেই ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫