ঢাকা: প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীদের চোখ মঙ্গলের ওপর। এর আগে সেখানে কোনো এক সময় পানি ছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরো পাকাপোক্ত হলো এবার।
লাখ লাখ বছর আগে গ্রহটিতে সাগর ছিল বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
ছয় বছর পর্যবেক্ষণের পর নাসার বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) বিশেষজ্ঞরা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলের সাগরটির আকৃতি পৃথিবীর আর্কটিক সাগরের সমান।
প্রায় ১০ লাখ বছর আগে এই সাগরের অস্তিত্ব ছিল বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে পানির অস্তিত্ব ছিল, এমন একটি ভূখণ্ডের ছবি তাদের হাতে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, যদি সত্যিই সেখানে এমন একটি সাগর ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মঙ্গল সম্পর্কে নতুন এক ধারণার জন্ম হবে। সেই সঙ্গে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন মঙ্গলে জীবনধারণের উপযোগী সবকিছু ছিল বলে প্রমাণ করা যাবে।
নাসার গডার্ড সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোবায়োলজির প্রধান পর্যবেক্ষক মাইকেল মাম্মা বলেন, মঙ্গলের উত্তরাঞ্চলীয় সাগরের অস্তিত্ব নিয়ে এক দশক ধরে বিতর্ক চলছে। কিন্তু এই প্রথম আমরা এর অস্তিত্বের পক্ষে শক্তিশালী তথ্য পেয়েছি।
তবে এ ব্যাপারে এখনো সন্দেহ পোষণ করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনায় জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির কিউরিসিটি রোভার মিশনের প্রকল্প বিজ্ঞানী অশ্বিন ভাসাভাডা বলেন, মঙ্গলে সাগরের অস্তিত্বের বিষয়টি এখনো অনুমাননির্ভর।
এদিকে, নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের আবহাওয়ায় দুই ধরনের পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। একটি সাধারণ পানি (H2O) আর অন্যটি ভারী পানি (HDO)। ভারী পানি গঠিত হয় হাইড্রোজেনের আইসোটোপ ডিউটেরিয়াম দিয়ে। সাধারণ হাইড্রোজেন পরমাণুতে একটি প্রোটন এবং একটি ইলেক্ট্রন থাকে। কিন্তু, ডিউটেরিয়াম পরমাণুতে একটি প্রোটন, একটি নিউট্রন আর একটি ইলেক্ট্রন থাকে।
তারা জানান, পৃথিবীর তুলনায় আটগুণ বেশি ডিউটেরিয়ামের অস্তিত্ব রয়েছে মঙ্গলের আবহাওয়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫/আপডেটেড: ১১৫০ ঘণ্টা