ঢাকা: সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জন্মশহর তিকরিতে ঢুকে পড়েছে ইরাকি যৌথবাহিনী। এদিকে রামাদিসহ বেশ কয়েকটি শহরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছে দখল এলাকা ধরে রাখতে মরিয়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বুধবার (১১ মার্চ) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিকরিতের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কাদিসিয়া দখল করে নিয়েছে শিয়া মিলিশিয়া এবং মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় অভিযানে নামা ইরাকি বাহিনী। অপরদিকে দক্ষিণে টাইগ্রিস নদীর দিক থেকেও ইরাকি বাহিনীর অপর একটি গ্রুপ শহরের কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
প্রধান সামরিক অপারেশন কেন্দ্রের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিকরিত জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইরাকি বাহিনী। হাসপাতাল কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ব্যাপক লড়াই হচ্ছে।
গত বছর জুনে এক আকস্মিক আক্রমণে বাগদাদের পাশেই অবস্থিত তিকরিত দখল করে নেয় আইএস। সে সময় থেকেই এই অঞ্চলে সাদ্দামের আমলে নির্মিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদটি ব্যবহার করে আসছিলো জঙ্গিরা।
দশ দিন আগে ২০ হাজার সেনার ইরাকি বাহিনী তিকরিত পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাদের সহায়তায় রয়েছে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়াদের হাশিদ সা’আব গোষ্ঠী ও স্থানীয় সুন্নি উপজাতি যোদ্ধারা।
এদিকে বাগদাদের ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদিতে ইরাকি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ১৩টি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এসব হামলায় হতাহতের পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।
এক মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতের আসল সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রামাদি শহরের পশ্চিমে একটি সেতুর কাছে একটি গাড়ি বোহামলার ঘটনা ঘটিয়েছে আইএস। এতে সেতুটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সিঞ্জরে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি স্থাপনায় আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের এক সদস্য। বোমা বিস্ফোরণের পরপরই প্রায় ৭০ জনের এক জঙ্গি গ্রুপ হামলা চালায় ওই শহরে। তবে যৌথবাহিনীর বিমান হামলার কারণে তাদের পিছু হটতে হয়।
বাগদাদে শিয়া অধ্যুষিত হুরিয়া জেলার একটি ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি বোমা হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫