ঢাকা: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার বলেছেন, রামাদি পুনরুদ্ধারে ইরাকি বাহিনী যে পথে হাঁটছে, তাতে আইএস মোকাবেলায় তাদের ইচ্ছার গলদ রয়েছে বলেই প্রমাণিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকারে অ্যাশটন বলেন, ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের সংখ্যা ইরাকের সরকারি বাহিনীর চেয়ে অনেক কম। কিন্তু ইচ্ছাশক্তির ঘাঁটতির কারণেই তারা রামাদি পুনরুদ্ধার করতে পারবে না।
তিনি বলেন, অগ্রসরমান আইএসকে ঠেকাতে দেশটির সরকার এখন শিয়া মিলিশিয়াদের ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
২০১১ সালে ইরাক থেকে নিজস্ব সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর দেশটির বাহিনীকে শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রশিক্ষণ ও সামরিক অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গত বছর আইএসের সঙ্গে প্রায় সবগুলো লড়াইয়েই পরাজয় মেনে নিতে হয় সরকারি বাহিনীকে।
অ্যাশটন কার্টার বলেন, সেখানে কি ঘটছে? ইরাকি বাহিনী তাদের কাজেকর্মে শুধু লড়াই না করার ইচ্ছাটাই ফুটিয়ে তুলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। আমরা তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম দিতে পারি। কিন্তু আমরা তো তাদের যুদ্ধ জয়ের ইচ্ছেটা দিতে পারবো না।
এসব সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যাবে বলে এসময় নিশ্চয়তা দেন অ্যাশটন কার্টার। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, তারা কোনো এক সময় নিজেদের উন্নতি করতে পারবে।
এসময় তিনি বলেন, আমরা চাইলে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে পারি। কিন্তু আমরা সেই ইরাক তৈরি করতে পারবো না, যেখানে দেশটির জনসাধারণ স্বস্তিতে বাস করতে পারে। আমরা জয়টাকে ধরে রাখতে পারবো না, কারণ লড়াই জেতার পর চিরজীবন আমরা সেখানে থাকবো না। তবে ইরাকিরা তা পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
আরএইচ