ঢাকা: ভারতে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) এক জনকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৫১ বছর বয়সী মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের নদীয় জেলার কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে।
এদিকে, এ সাফল্যে যানপরনাই উচ্ছসিত তিনি ও ভারতের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
এছাড়া তার ফেসবুক পেজে ও নানাভাবে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন তার ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্খীরা।
তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এটা মাইলফলক কিনা জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি শ্রেণিভেদে বিশ্বাসী নই। আমরা সবাই সমান।
এদিকে, মঙ্গলবারই পালিত ছেলে দেবাশীষকে নিয়ে কৃষ্ণনগর কলেজ ঘুরে এসেছেন বর্তমানে পশ্চিমে মেদিনীপুরের বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের বাংলার সহযোগী এ অধ্যাপক।
সরকারি এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কলেজের নিয়ন্ত্রক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতন লাল হাংলু। তিনি বলেন, মানবী একজন ভাল প্রশাসক। এটা সরকারের ভাল এক সিদ্ধান্ত যা ওই কমিউনিটির ক্ষমতায়নে কাজ করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটীর কারখানা শ্রমিক বাবার মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলে হিসেবে জন্ম হয় মানবীর। তখন তার নাম ছিলে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে কলকাতার একটি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
পড়াশোনা শেষে পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলের এক কলেজে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মানবী। এ সময়েই নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে লেখালেখি ও সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন মানবী। পরে ২০০৩ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেকে নারীতে রূপান্তরিত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
এসআর