ঢাকা: প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার পথে জাপানে অবতরণে বাধ্য হয়েছে সৌরচালিত প্লেন ‘সোলার ইমপালস-২’।
বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ মে) প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে সুইস বৈমানিক আন্দ্রে বোরসেকবার্গ চীন থেকে হাওয়াইয়ের উদ্দেশে উড়াল দেন।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিক পরিবর্তন করে প্লেনটি জাপানের নাগোয়া দ্বীপে অবতরণ করে। মোনাকো থেকে পর্যবেক্ষণকারী দলের পরামর্শেই অবতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোনাকোর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থানরত প্লেনটির অপর চালক বারট্রেন্ড পিকার্ড বলেন, আমরা ডানপিটে নই। আমরা অভিযাত্রী। নিরাপদ অভিযানের বিষয়টি আমারা সবার শীর্ষে রাখছি। প্লেনটি নিয়ে সবাই খুশি। তবে আবহাওয়া সন্তোষজনক নয়। তাই অবতরণ করতে হয়েছে।
ভালো আবহাওয়ার জন্য প্লেনটি এখন জাপানে অপেক্ষা করবে বলে জানান বারট্রেন্ড পিকার্ড।
এর আগে আবুধাবি, ওমান, ভারত ও মায়ানমার হয়ে চীনে যায় উড়োজাহাজটি। আর টানা চলার অভিজ্ঞতা ১৭ ঘণ্টা ২২ মিনিট। একবারের উড়ালে টানা পাড়ি দিয়েছে ১৪৬৮ কিলোমিটার।
সবশেষ ২১ এপ্রিল চীনে এসে থামে উড়োজাহাজটি। সেখানে ভালো আবহাওয়ার জন্য একমাসের বেশি অপেক্ষা করার পর উড়াল দিলো সোলার ইমপালস-২।
গত ৯ মার্চ আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির আল বাতেন এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় সৌরচালিত এই উড়োজাহাজ তার বিশ্বযাত্রা শুরু করে।
এক আসনের সৌরচালিত এই উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণে আছেন সুইজারল্যান্ডের আন্দ্রে বোরসেকবার্গ নামে একজন বিশেষজ্ঞ পাইলট। আর তার সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে রয়েছেন স্বদেশী বারট্রেন্ড পিকার্ড।
৭২ মিটার লম্বা ডানার উড়োজাহাজটির ওজন ২.৩ টন। সাধারণত একটি বোয়িং ৭৪৭-৮১ প্লেন ডানাসহ ৬৮.৫ মিটার প্রশস্ত হয়ে থাকে। শক্তির উৎস হিসেবে সৌরচালিত এই উড়োজাহাজের ডানার উপর বসানো রয়েছে ১৭ হাজার সৌরকোষ। সেই সঙ্গে রাত্রিকালে উড্ডয়নের জন্য শক্তির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এতে রয়েছে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৫
আরএইচ/