ঢাকা: মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম (মার্স) আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাড়ে পাঁচশ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এই সংক্রমণকে ‘মহামারী’ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে।
এ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কায় সন্দেহজনক প্রায় দেড় হাজার মানুষকে ‘সঙ্গরোধ’ (অন্যের সংস্পর্শ থেকে পৃথক করে রাখা) করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্র নতুন পাঁচজন সংক্রমিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে মার্স সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দেশটিতে গিয়ে দাঁড়ালো ৩৫ জনে।
এই ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় দু’জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া দু’জনের একজন ৫৮ বছরের নারী। তিনি মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করে আসা এক দক্ষিণ কোরীয়র মাধ্যমে আক্রান্ত হন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর। নিহত অপর ব্যক্তির বয়স ৭১ বছর। দু’জনের কারোরই নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মার্স রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের জুন মাসে সৌদি আরবে।
মার্স নামের এই আরএনএ ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর আসা ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া। উপসর্গ দেখে প্রথমে মনে হবে, সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দির কারণেই এমনটা হচ্ছে। কিন্তু দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন না হলে পরবর্তীতে নিউমোনিয়া ও কিডনি বিকল হয়ে পড়ে রোগীর।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ভাইরাসটি ততোটা সংক্রমণ ঘটায় না। এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে এক হাজার একশ ৮৫ জন মার্স আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে চারশ ৭৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মার্স ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
আরএইচ