ঢাকা: জিম্বাবুয়ের বিখ্যাত সিংহ সেসিল হত্যার ঘটনায় সমালোচনা যখন তুঙ্গে তখন তার সহোদর জেরিকোকেও হত্যা করা হয়েছে এমন খবর নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
শনিবার জিম্বাবুয়ের পরিবেশ বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জেরিকোকে হত্যার খবর প্রকাশ করে।
ফেসবুক পেজে দেওয়া এ বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়- অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, শনিবার বিকেল ৪টায় বিখ্যাত সিংহ সেসিলের সহোদর জেরিকোকেও হত্যা করা হয়েছে। আমরা মর্মাহত। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ বিষয়ক এই টাস্ক ফোর্সটিই সিংহ সেসিলের মৃত্যু সংবাদ প্রথম প্রচার করেছিল।
তবে সংস্থাটির এই সংবাদকে খতিয়ে দেখতে বলে দেওয়া হোয়াংগে ট্রাস্টের এক পাল্টা বিবৃতি বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। হোয়াংগে ট্রাস্ট জানায়, জেরিকোর মৃত্যুর খবরটি অসত্য হতে পারে।
অবশ্য এ বিষয়ে সেসিলদের আবাস হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের কোনও মতামত এখনও পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় জেরিকোর মৃত্যুর খবরটি নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে। আর অপেক্ষা বাড়ছে পশুপ্রেমীদের যারা জানতে চান, কী ঘটেছে সেসিলের সহোদর জেরিকোর ভাগ্যে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জিম্বাবুয়ের বিখ্যাত সিংহ ‘সেসিল দ্য লায়ন’কে তীর ছুড়ে হত্যা করেন এক ধনী মার্কিন শিকারি ওয়াল্টার জেমস পালমার। পেশায় দন্ত চিকিৎসক ওই শিকারির এহেন কাণ্ডে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা যায়, তীর বিদ্ধ হওয়ার পর অন্তত ৪০ ঘণ্টা যন্ত্রণা ভোগের পর মারা যায় সেসিল। সিংহটি জিম্বাবুয়ের হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ছিলো। সিংহটিকে লোভ দেখিয়ে পার্কের সীমানার বাইরে বের করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
১৩ বছর বয়সী সেসিল হোয়াংগে সাফারির কর্মচারী এবং দর্শনার্থীদের কাছে আইকন ছিলো। প্রতি বছর হোয়াংগে সাফারি পার্কে ৫০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে যার অর্ধেকই বিদেশি।
এদিকে, এ ঘটনার জেরে অপর শিকারি ব্রোংকহর্স্ট এবং পার্কের পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিক হনেস্ট এনডুভোর বিচার চলছে ভিক্টোরিয়া ফলসের একটি আদালতে। ঘটনাটির বিচার করতে পলাতক মার্কিন নাগরিক পালমারকে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
এসইউ