ঢাকা: ১৯৯৩ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির ঘটনায় বিতর্ক না কাটতেই পাকিস্তান জন্ম দিল আরেক বিতর্কের। ২০০৪ সালে এক শিশু হত্যার অভিযোগে সেখানে শাফকাত হুসেইন নামে একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও সোমবার (০৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় দিনগত মধ্যরাতে করাচি কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয় শাফকাত হুসেইনের।
তার আইনজীবীদের দাবি, ১৪ বছর বয়সে শাফকাতকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে সময় নির্যাতনের মুখে তার জবানবন্দি নেয় তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, যখন শাফকাত অভিযুক্ত হন, তখন তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন বলে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।
চলতি বছর চারবার তার ফাঁসির আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল আবেদন জানানো হয়। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ রায় পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে দণ্ড কার্যকর করলো সরকার।
এর আগে, ১৯৯৩ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর ভারত সরকার। এ ফাঁসিতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম হয়। অনেকের মতে, ভাইয়ের অপরাধের সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে।
আবার মেমনের আইনজীবীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় জেলকোড অনুযায়ী ১৪ দিন আগে ও মহারাষ্ট্র জেলকোড অনুযায়ী ৭ দিন আগে ফাঁসির দিনক্ষণ জানানোর নিয়ম আসামিকে। কিন্তু তা মানা হয়নি ইয়াকুব মেমনের ক্ষেত্রে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও মেমনের ফাঁসি অন্তত ১৪ দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় সেসময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৫
আরএইচ
** রাতভর আইনি লড়াই, ভোরে মেমনের ফাঁসি