ঢাকা: চলমান দাবদাহে মিশরে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিশরের রাজধানী কায়রো ও এর আশেপাশের এলাকাসহ দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপ এবং বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে সে দেশের সরকার জানিয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১১৭ ফারেনহাইট) উন্নীত হয়। এতে প্রচণ্ড গরম ও বাতাসের অনেক বেশি আর্দ্রতা মানুষের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। ফলে কায়রোতে ১৫ জন, কুলাইবিয়ার ডেল্টা প্রদেশে চারজন এবং উত্তর মিশরের কিনা প্রদেশে দুইজন মারা যান।
বিবৃতিতে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে সাতজন নারী এবং তাদের সবার বয়স ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ৬৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল গাফ্ফার সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি তাপমাত্রা বিদ্যমান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় তা মানুষের খুবই ক্ষতি করছে। এটা যদি আরো দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা ঘাতকের রূপ নেবে।
মিশরের আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মিশরের রাজধানী কায়রো এবং এর আশেপাশে ও দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে প্রচণ্ড দাবদাহ বিদ্যমান।
আবহাওয়াবিদ ওয়াহিদ সৌদি জানান, সাধারণ তাপমাত্রার চেয়ে এ মাসে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বিদ্যমান। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড আর্দ্রতা রয়েছে বাতাসে।
তিনি বলেন, কায়রোতে রোববার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিদ্যমান ছিল। তারমানে সূর্যের নিচে বা যেখানে বাতাস ভালোভাবে চলাচলের ব্যবস্থা নেই, সেখানকার তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
তবে মিশরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এবার বাতাসে অনেক বেশি আর্দ্রতা বিরাজমান। এতে করে বাতাসে ভ্যাঁপসা গরমের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
এবি