ঢাকা: প্রেসিডেন্টের কুরসি হারানোর পর সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার প্রাসাদে ফিরতে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রভাবশালী রাজনীতিক মাহিন্দা রাজাপাকসে। কিন্তু পারলেন না।
সোমবার (১৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে হেরে গেছে তার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ)। দলের পরাজয়ের মাধ্যমে ভেঙে গেল রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও।
শ্রীলঙ্কায় ২২টি ‘বহু-সদস্য নির্বাচনী জেলা’ রয়েছে। এ ২২ জেলায় মোট ২২৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। সংসদ গঠন করতে ২২৫টি আসনের মধ্যে ১১৩টিতে জিততে হয়। কিন্তু সোমবারের নির্বাচনে পর্যাপ্তসংখ্যক আসনে জিততে ব্যর্থ হয় রাজপাকসের ইউপিএফএ।
বেসরকারিভাবে ফলাফল শুনে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ২২ জেলার মধ্যে আমরা আট জেলায় জিতেছি। আর ক্ষমতাসীনেরা (প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি) ১১ জেলায় জিতে গেছে। এর অর্থ আমরা হেরে গেছি।
নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি পরাজয় স্বীকার করছি। কিন্তু এ পরাজয়ে আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও ভেঙে গল। তবে, বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য হিসেবে দেশের জন্য কাজ করে যাবো আমি।
সোমবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর মঙ্গলবার দুপুরে ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের তরফ থেকে ফলাফল ঘোষণার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নেন রাজাপাকসে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউএনপি বা রাজাপাকসের ইউপিএফএ কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১১৩ আসনে জয়) পায়নি। কিন্তু তারপরও রাজনীতির সমীকরণেই আগাম ‘ভবিষ্যৎ’ মেনে নিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কারণ তিনি বুঝে গেছেন, নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও তার দল কারও সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারবে না।
কারণ, রাজপাকসে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গেরিলা সংগঠন ‘লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম বা এলটিটিই’ দমনের সময় যে সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত হয়েছিল, সেই সংখ্যালঘুদের সমর্থক পরিচিত তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ও জনতা বিমুক্তি পারামুনার অনুকূলে থাকছে বাকি তিন ‘বহু-সদস্য নির্বাচনী জেলা’র ফলাফল। আর সরকার গঠনের জন্য প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালার দল ইউএনপি জোটে ডাকলে দল দু’টি চোখ বন্ধ করেই এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এইচএ/