ঢাকা: সারা বিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ থাইল্যান্ড। কিন্তু রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে সোমবারের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানে অবস্থানরত পর্যটকেরা।
পর্যটন খাত থাইল্যান্ডের জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস। বোমা বিস্ফোরণের পর সেই খাত বড় হুমকির মধ্যে পড়লো বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির সরকার এবং অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা। উপর্যুপরি রাজনৈতিক গোলযোগে বিপর্যস্ত থাইল্যান্ডের অর্থনীতির জন্য এই হামলা নতুন অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন তাঁরা।
‘রেড শার্ট’ এবং ‘ইয়েলো শার্ট’ দ্বন্দ্বে এমনিতেই বিপর্যস্ত দেশটির রাজনীতি। তার ওপর এই বোমা বিস্ফোরণ দেশটির অস্থিতিশীলতাকেই সামনে তুলে ধরেছে।
২০০৬ সালের পর থেকে ব্যাংককে একাধিক রাজনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে দুই বার। এখনও সেখানকার ক্ষমতায় সামরিক জান্তা সরকার। তবে এসব ঘটনায় এর আগে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়নি পর্যটকদের। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
থাই পুলিশ বলেছে, সোমবারের হামলায় নিহত ২৩ জনের মধ্যে আটজনই বিদেশি। এর মধ্যে চীন, হংকং ও মালয়েশিয়ার দুজন করে মোট ছয়জন এবং ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের একজন করে।
হামলার শিকার ইরাওয়ান মন্দিরটি ফাইফস্টার গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলর পাশে অবস্থিত। এর চারপাশজুড়ে আছে বড় বড় হোটেল আর শপিং মল। এসব হোটেল এবং শপিং মলে প্রতিদিন উপচে পড়ে নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় হামলার পর জনশূন্য এসব শপিং মল।
থাইল্যান্ডে প্রায়ই বেড়াতে যাওয়া এক ব্রিটিশ পর্যটক সংবাদমাধ্যম বলেন,‘এই হামলার পর এ দেশে আমার আসা বন্ধ হবে না। তবে আমি নিশ্চিত, থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। থাইল্যান্ডে আসার আগে নিশ্চিতভাবেই মানুষ দুবার ভাববে। ’
সোমবারের হামলার পরদিনই নিজেদের নাগরিকদের থাইল্যান্ড সফরে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে হংকংয়ের সরকার। খুব বেশি জরুরি না হলে এই সময় ব্যাংককে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এই যখন অবস্থা তখন আসলেই হুমকির মুখে থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প। এ পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কেউই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
আরআই