ঢাকা: ‘সুসংগঠিত অপরাধ’র মাধ্যমে ‘মাফিয়া’দের মতো চাঁদাবাজি করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইরাকি প্রদেশ নিনেভে দখলের আগে ওই অঞ্চল থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতি মাসে ১১ মিলিয়ন ডলার (৮৫ কোটি টাকা প্রায়) আয় করতো সংগঠনটি।
গত বছর ১০ জুন আইএস জঙ্গিদের হাতে নিনেভে প্রদেশের রাজধানী মসুলের পতন হয়। এর আগে এই অঞ্চলে সংগঠনটি মাফিয়া চক্রের মতোই অপরাধ করতো ও প্রদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতো বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, জঙ্গি সংগঠনটি অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করে। বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর ওপর এরা বিভিন্ন হারে চাঁদা ধার্য করে।
নিনেভে প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মসুল দখলের আগে চাঁদাবাজির অংশ হিসেবে আইএস প্রথমে মাসে ৫ মিলিয়ন ডলার (৩৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা) করে নিতো। কিন্তু খুব দ্রুত তাদের চাহিদা বেড়ে যায়। চাঁদার পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে ১১ মিলিয়ন ডলার করে নিতে থাকে তারা।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সরকারের মতোই করারোপ করতো আইএস। প্রতিটা খাতের ওপরই কর আদায়ের মতো করে চাঁদাবাজি করতো তারা।
নিনেভের প্রাদেশিক কাউন্সিলর জুহাইর আল-চালাবি জানিয়েছেন, প্রশাসনকেই শুধু নয়, নিনেভের জনগণকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। প্রদেশের হাজার হাজার চিকিৎসক জন প্রতি মাসে তিনশ’ ডলার (২৩ হাজার ১৬৫ টাকা) করে চাঁদা দিতো আইএসকে। প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি জেনারেটর মালিককে দিতে হতো কমপক্ষে ২০০ ডলার (১৫ হাজার ৪৪৩ টাকা) করে।
ইরাকি সংসদীয় কমিটির প্রস্তুত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সব্জি বিক্রেতা থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকেই চাঁদা দিতে হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
আরএইচ