ঢাকা: নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ান। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর জোট গড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাকে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।
গত ৭ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে জয় পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন ‘আদালেত ভে কালকিনমা পার্টিসি (একেপি)’ বা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও একক সরকার গঠনে ক্ষমতাসীন দল একেপির প্রয়োজন ছিল ২৭৬ আসন, কিন্তু তারা পায় ২৫৮ আসন। মোট গৃহীত ৯৯.৯৪ শতাংশ ভোটের মধ্যে তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ৪০.৮ শতাংশ।
এদিকে, প্রধান বিরোধী দল বামপন্থি ‘চুমহুরিয়েত হাক পার্টিসি (সিএইচপি)’ বা রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি ২৫.২ শতাংশ ভোট পেয়ে অর্জন করে ১৩২ আসন। আর রক্ষণশীল একেপির প্রতি অপেক্ষাকৃত সহনশীল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) ১৬.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে অর্জন করেছে ৮১ আসন। তবে, সবচেয়ে বড় চমক উপহার দিয়েছে কুর্দি সমর্থিত আরেক বামপন্থি দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি)। একেপির কড়া সমালোচক বলে পরিচিতি এই দলটি ১৩.১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতে নিয়েছে ৭৯টি আসন।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের পর ৪৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল যদি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে ফের নির্বাচন আহ্বান করার কথা প্রেসিডেন্টের।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার এরদোয়ান নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন। এসময় তিনি জানান, সোমবার (২৪ আগস্ট) তিনি সংসদ স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নির্বাচনের।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে চলতি বছর ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
আরএইচ