ঢাকা: আগামী রোববার প্রকাশ হবে বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফল। ভোটের ফলাফল জানতে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে পুরো ভারতবাসী।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এমনকী ভোটের ফল দেখিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেও উধাও হয়ে গিয়েছে মোদি-হাওয়া। সম্মানের লড়াইয়ে হারের খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকেও। সেখানে বিজেপির মুখে ছাই দিয়ে শেষ হাসি হেসেছে শিবসেনা। মুম্বাইয়ের উপকণ্ঠে কল্যাণ-ডোম্বিবলী পৌরসভার ভোটে সব থেকে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। বিহার ভোটের প্রাক্কালে এই জোড়া ধাক্কা কার্যত বেসামাল করে দিয়েছে মোদির দলকে।
লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ভাল ফলের সুবাদেই দিল্লির মসনদে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানকার ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭১টিই দখল করে বিজেপি। অথচ সেই রাজ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে ফল হয়েছে একেবারে উল্টো। সব থেকে অস্বস্তির বিষয়, বারাণসীতে জেলা পরিষদের ৪৮টি আসনের মাত্র ৮টিতে জিততে পেরেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, যে জোয়াপুর গ্রামটি প্রধানমন্ত্রী নিজে দত্তক নিয়েছেন, সেখানেও বিএসপির কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। সমাজবাদী পার্টি এখানে ২৫টি আসন পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নির্বাচনী কেন্দ্র লখ্নৌয়ের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানে ২৮টি আসনের ৪টি মাত্র বিজেপির দখলে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে সব থেকে ভাল ফল করেছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। শাসকদল সমাজবাদী পার্টিও রাজ্যের অনেক পঞ্চায়েত দখলে রাখতে পেরেছে।
দেশের পশ্চিম প্রান্তে মহারাষ্ট্রের পৌরসভা ভোটেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে শিবসেনা। সম্মানের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মোদির দলকে পিছনে ফেলেছে শিবসেনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শিবসেনা সূত্র জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে আলাদা লড়ে দাদাগিরি দেখিয়েছিল বিজেপি। এখন দাদাগিরি দেখানোর পালা শিবসেনার। এটি শুরু মাত্র। শিবসেনা দেখিয়ে দিয়েছে, মোদি-জাদুর জামানা শেষ। বিহারের ফলেও তার প্রমাণ হবে।
সাম্প্রতিক অতীতে দেশের যে কোনও প্রান্তে স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি জিতলেই দিল্লিতে তা ‘মোদির জয়’ বলে প্রচার করা হতো। এমন কী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের জয়ের পরেও উঠত মোদি-ধ্বনি। কিন্তু এখন মোদির খাসতালুকে হারের পর বিজেপি চুপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
আরআই