ঢাকা: মালদ্বীপে ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ‘জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ’ দেখা দেওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন বুধবার (৪ নভেম্বর) এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকেই এ অধ্যাদেশ কার্যকর বলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ‘জাতীয় স্বার্থে’ তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ ভোগ করবে।
মালদ্বীপের সামরিক বাহিনী নেই। তবে, কোস্টগার্ড, মেরিন কর্পস, এলিট ফোর্স, সার্ভিস কর্পস, মিলিটারি পুলিশ, এয়ার উইং, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস, ইনফেন্ট্রি সার্ভিস ও ডিফেন্স ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ) দেশটির নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে আগামী ৩০ দিন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।
এ অধ্যাদেশ জারির ফলে সংবিধান স্বীকৃত কিছু অধিকার ও বাকস্বাধীনতা বঞ্চিত হবেন দ্বীপ রাষ্ট্রটির জনগণ।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ অধ্যাদেশ জারির কারণ হিসেবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী নৌকায় বিস্ফোরণ এবং রাজধানী মালের একটি রিসোর্ট থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনাকে উল্লেখ করলেও বিরোধী দলের সমর্থক সংবাদমাধ্যম বলছে, ভাইস প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার ও তারপর ক’দিন ধরে অস্থিতিশীলতার মধ্যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণাকে বর্তমান প্রেসিডেন্টর ভাই ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম স্বাগত জানালেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেটে পড়েছেন সরকারবিরোধীরা। অনেক রাজনীতিক এ সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ বলেও অভিহিত করেছেন। প্রেসিডেন্টের সমালোচকরা বলছেন, এ অধ্যাদেশ জারির ফলে নিরাপত্তা বাহিনী সবাইকে নির্বিচারে গ্রেফতারের ক্ষমতা ভোগ করবে এবং এতে বিরোধী দল-মত নিপীড়ন হবে বিনা বিচারে। অনেক বিরোধী রাজনীতিক প্রেসিডেন্টের পদত্যাগও দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫/আপডেট ১৬০৬ ঘণ্টা
এইচএ/