ঢাকা: চলতি বছর শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইউরোপ পাড়ি দিতে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের যেন ঢল নেমেছে। আর এদের সিংহভাগই এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসকে ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের ঢলে শুরু থেকেই টালমাটাল লেসবসে জন্ম হয়েছে নতুন আরেক সংকটের। ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টারতদের মধ্যে যারা এজিয়ান সাগরে ডুবে বা অন্য কোনোভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশকেই শুরু থেকে লেসবসেই সমাহিত করা হচ্ছে। এভাবে চলতে চলতে দ্বীপটি এখন সমাধি সংকটে পড়েছে। নতুন মৃতদের সমাহিত করতে স্থান বরাদ্দ দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
এক হিসাবে জানা গেছে, চলতি বছর শুধুমাত্র তুর্কি উপকূল থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারতদের মধ্যে এজিয়ান সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচশ অভিবাসন প্রত্যাশী। এর মধ্যে গত মাসেই সাগরে ডুবে প্রাণ গেছে ৮০ জনের।
চলতি সপ্তাহে লেসবসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও চার্চ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, তাদের সমাধিস্থলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। এদিকে হিমঘরে সংরক্ষিত রয়েছে আরও অনেক মরদেহ। তাদের সমাহিত করতে নতুন করে স্থান বরাদ্দ এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় একটি শরণার্থী সহায়তা সংস্থার একজন সদস্য এফি লাতসৌদি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
তবে স্থানীয় বিশপ ইয়াকোভস আপাতত কোনো আশার বাণী শোনাতে পারছেন না। স্থানীয় মেগা চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নতুন সমাধিস্থল খুঁজে বের করতে ও তা প্রস্তুত করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।
লেসবসের মেয়র স্পাইরস গালিনস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) তিনি প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সংকট মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে তার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
আরএইচ