ঢাকা: চলছে মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এর আগে ২০১১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তাতে সেনাবাহিনীর প্রভাব কাজ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার (০৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে মায়ানমারে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারের নির্বাচনের আরও একটি বিশেষত্ব হলো, দীর্ঘ ২৫ বছর পর দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দল এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
৬৬৪ আসনের এই সংসদ নির্বাচনে ৯০টির বেশি দলের ছয় হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তবে সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু কি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র (এনএলডি) মধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপগুলো বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এনএলডি এবার ভালো করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সু কি’র দল জয় পেলেও প্রেসিডেন্ট রূপে দেখা যাবে না তাকে। সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের কারণে তিনি এ পদপ্রার্থী হতে পারবেন না।
মায়ানমারের সংবিধানে ৫৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিদেশি কোনো নাগরিকের স্ত্রী, সন্তান কিংবা পিতামাতা মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারবেন না। সু কি’র দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
তবে সু কি আগে থেকেই আভাস দিয়ে রেখেছেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও সরকার পরিচালনার কাজ তিনিই করবেন।
কয়েকদিন আগে ইয়াংগুনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, যদি আমার দল জয় পায় এবং সরকার গঠন করে, তাহলে আমি প্রেসিডেন্টকেও টপকে যাবো।
এদিকে, এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে পারবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। সংসদের ৬৬৪ আসনের ২৫ শতাংশ অনির্বাচিত সেনা প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিনিধিরা থেইন সেইন’র ইউএসডিপিকেই সমর্থন দেবেন। সরকার গঠন করতে হলে সু কি’র এনএলডিকে ন্যূনতম ৬৭ শতাংশ আসনে জয় পেতে হবে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। গত শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্তব্য করেন।
রোববারের নির্বাচনে প্রায় তিন কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করেছে মায়ানমারের নির্বাচন কমিশন। সোমবার (০৯ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে শুরু হবে এর বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
আরএইচএস/আরএইচ