ঢাকা: গিনেজ বুকে নাম ওঠা মানে কালজয়ী কিছু একটা করে ফেলা। মরে যাওয়ার পরও নিজের নামে বেঁচে থাকা।
চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে কলেজ অব অটোমেশনের অধ্যাপক লি কিংডু’র নেতৃত্বে একটি গবেষক দল এই চতুষ্পদী রোবটটি তৈরি করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে, শিংঝে নম্বর-১ বা ওয়াকার-১। ১৩৪.০৩ কিলোমিটার হাঁটার পরই ‘ওয়াকার’ উপাধিটি দেওয়া হয় একে।
চতুষ্পদী এই রোবটটি এক মেশিনে চালিত এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেক্ট্রনিক সার্কিট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এর পায়ে কোনো চাকা লাগানো নেই। পাগুলো কয়েকটি জয়েন্টের সমন্বয়ে গঠিত। এর ফলে চতুষ্পদী প্রাণির মতোই এটি হাঁটতে পারে।
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র শর্ত ছিল, রেকর্ডে নাম লেখাতে হলে রোবটটিকে অবশ্যই একবারের চার্জে বা একবার জ্বালানি সরবরাহের পর সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, টানা ৫৪ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট হেঁটে ওয়াকার-১ এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে। ৯৫ দশমিক ৩৯ মিটারের ইনডোর ট্র্যাকে এটি এক হাজার ৪০৫ বার ল্যাপ অতিক্রম করে।
এর আগে ২০১১ সালে টানা ৬৫ দশমিক ১৮ কিলোমিটার হেঁটে গিনেজ বুকে নাম লেখায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির রেঞ্জার রোবট। এবার সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েই নতুন রেকর্ড গড়লো ওয়াকার।
চীনা গবেষক দলের প্রধান লি কিংডু জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ওয়াকার-১ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।
ওয়াকার-১’র এ অনবদ্য কীর্তির কারণে চলতি নভেম্বর মাসের ১ তারিখে এর গবেষক দলের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ তুলে দেয় গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
আরএইচ