ঢাকা: মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১০৬ আসনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের (নিম্নকক্ষ) আর ৫২টি প্রাদেশিক সংসদের।
রোববার (০৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিন রাত থেকেই শুরু হয় গণনা। সোমবার (০৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল থেকেই ফল ঘোষণা শুরু করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ঘোষিত ৫৪টি আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, ৪৯টিই গেছে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু কি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ঝুলিতে। এর বেশিরভাগই ইয়াঙ্গুনের আসন। আর ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) জয় পেয়েছে তিন আসনে। ওয়া ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কাশিন স্টেট ডেমোক্রেসি পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
অপরদিকে, ফল ঘোষিত প্রাদেশিক ৫২টি আসনের ৪৭টিতে জয় পেয়েছে এনএলডি। এখানেও ইউএসডিপি জয় পেয়েছে তিনটিতে। আর ওয়া ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে দুই আসন।
সব মিলিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ মিলিয়ে এ পর্যন্ত ফল ঘোষিত আসনগুলোর মধ্যে ৯৬টিতে জয় নিশ্চিত করেছে এনএলডি।
মায়ানমার নির্বাচন কমিশন (ইউইসি) চেয়ারম্যান ইউ তিন আই জানিয়েছেন, বাকি আসনগুলোর ফলও পর্যায়ক্রমে ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ২০১১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তাতে সেনাবাহিনীর প্রভাব কাজ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইন ওই সময় বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেন। তাই এবারের নির্বাচনকেই দশককালের সেনাশাসন পরবর্তী প্রথম সাধারণ নির্বাচন বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
এ নির্বাচনের আরও একটি বিশেষত্ব হলো, দীর্ঘ ২৫ বছর পর দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দল এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
৯১টি রাজনৈতিক দলের ছয় হাজার ৩৮ জন ও ৩১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে মায়ানমারের তিন স্তরের সংসদের এক হাজার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষের আসনগুলোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৭৩৩ জন, হাউজ অব ন্যাশনালিটিজ’র (উচ্চকক্ষ) আসনগুলোয় ৮৮৬ জন ও আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক আসনগুলোয় তিন হাজার ৪১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
আরএইচ