ঢাকা: প্যারিসে হামলার ঘটনায় ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। পাশপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) হামলার পর রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এ ঘোষণা দেন।
প্যারিসে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ১৫৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জিম্মি করে রাখা হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্স এবং বার্তাক্লান কনসার্ট হলে বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এছাড়া স্টেডিয়ামের বাইরে একটি এশীয় রেস্তোরাঁ ও বারে একে-৪৭ দিয়ে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এ সময় স্টেডিয়ামে জার্মানি-ফ্রান্সের খেলা দেখছিলেন প্রেসিডেন্ট ওলাঁদও।
এদিকে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। হামলার নিন্দা জানিয়ে হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট –ন্যাটো।
ফ্রান্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিরপরাধ বেসামরিক জনগণকে সন্ত্রস্ত করার আরেকটি ভয়ঙ্কর চেষ্টা আমরা দেখলাম। ’
প্যারিসের হামলায় ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি প্যারিসের এ ঘটনায় শোকাহত। ’
ফ্রান্সের জনগণের সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫, আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা
এসএমএ/আরএ/এমএ