ঢাকা: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে হোটেল রেডিসন ব্লুতে জিম্মিদের তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে বন্দুকধারীরা।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) দিকে বন্দুকধারীরা হোটেলটিতে এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা ১৭০ জনকে জিম্মি করে। এদের মধ্যে ১৪০ জন অতিথি ও ৩০ জন হোটেল কর্মী রয়েছেন।
বন্দুকধারীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যমে সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, হামলাকারীর সংখ্যা দুই থেকে তিনজন হতে পারে। আবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, হামলাকারীর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন হতে পারে।
নিরাপত্তা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৯০ কক্ষের হোটেলটিতে অষ্টমতলায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ও গ্রেনেডের বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। হামলার পরপরই হোটেল চত্বর ঘিরে ফেলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া ফরাসি বাহিনীও সেখানে পৌঁছেছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, কূটনীতিক নাম্বারধারী গাড়িতে চেপে হামলাকারীদের হোটেলে প্রবেশ করতে দেখেছেন তারা।
হামলাকারীদের ‘জিহাদি’ মন্তব্য করে সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জিম্মিদের কয়েকজনের ধর্মের পরিচয় পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয় তারা। এছাড়া টার্কিশ এয়ারলাইন্সের তিন কর্মী সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে।
জিম্মিদের মধ্যে ছয়জন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কর্মী ছিলেন বলে এর আগে জানিয়েছিলো তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সেখানে চীনেরও সাত নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে, বামাকোয় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে এক টুইট বার্তায় সেখানকার মার্কিন নাগরিকদের সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিতে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বামাকোর এই হোটেলটিতে মালির সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কূটনীতিক ও পর্যটকরাই বেশি যাতায়াত করে থাকেন।
এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন দায় স্বীকার করে না নিলেও ধারণা করা হচ্ছে আল-কায়েদার কোনো সহযোগী সংগঠনের জঙ্গিরা এতে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫/আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা
আরএইচ
** মালির রেডিসন হোটেলে হামলায় নিহত তিন, জিম্মি দেড় শতাধিক