ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ভবিষ্যৎ যুদ্ধের নির্ধারক সাইবার শ্রেষ্ঠত্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
ভবিষ্যৎ যুদ্ধের নির্ধারক সাইবার শ্রেষ্ঠত্ব

ঢাকা: ট্যাংক, যুদ্ধবিমান কিংবা রণতরী নয়, ভবিষ্যতের সামরিক সংঘাতের বেশিরভাগ অংশজুড়ে থাকবে সাইবার জগত। বন্দুক-ট্যাংকের বদলে সাইবার দুনিয়ায় কলাকৌশলের শ্রেষ্ঠত্বই হবে আগামীর সামরিক সংঘাতের জয়-পরাজয়ের নিয়ামক।

অনেকের পাশাপাশি এ উপলব্ধি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পাড়িকরেরও।  

তিনি বলেন, ‘বছর বছর সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করে প্রচলিত সৈন্য-সামন্ত এবং অস্ত্র-সরঞ্জাম প্রয়োজনের খাতিরে বাড়ানো লাগলেও সশস্ত্র বাহিনীকে আগামী সময়ে সাইবার স্পেসে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে যুদ্ধ করতে হবে সাইবার জগতেই। ’

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিশ্ব-সমাজকে দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। সেই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দিয়েই পাড়িকরের এই মনোভাব।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানী নয়াদিল্লির একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সমরশক্তির এই দেখভালকারী বলেন, ‘বিশ্ব-সমাজে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্র দিনে দিনে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভবিষ্যৎ যুদ্ধটা আসলে সাইবার জগতেই হবে। আর সাইবার অ্যাটাক বা সাইবার অস্ত্রের নিশানা থেকে স্বদেশকে সুরক্ষায় বাহিনীগুলোর উচিত তাদের সাইবার স্পেসকেন্দ্রিক সক্ষমতা বাড়ানো। ’

এ প্রসঙ্গে তিনি অবতারণা করেন জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস প্রসঙ্গের। সাইবার লড়াইয়ে আইএসের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইএসের দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে সাইবার জগতের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়াটা কতো গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিরা দলে লোক ভেড়াতে এবং সহায়তার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। নিজেরা কী কারণে যুদ্ধ করছে তার পক্ষে প্রচারণা চালাতেও ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে আইএস। ’

পাড়িকর আরও বলেন, ‘এ সময়ের সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তা হলো সাইবার স্পেসে জমা রাখা প্রয়োজনীয় তথ্য মুছে দেওয়া। সাইবার অ্যাটাক থেকে নিজেদের নিরাপত্তায় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন আমাদের। সামরিক বাহিনীগুলোর মধ্যে ময়দানি লড়াইয়ের বদলে বেশিরভাগ স্থান জুড়ে থাকবে সাইবার লড়াই। ‘

সাইবার হামলা একটি রাষ্ট্রের ব্যাংকিং, যোগাযোগ এমনকি পারমাণবিক প্রকল্পেও ধস নামাতে পারে। এক্ষেত্রে মার্কিন গোপন সাইবার হামলায় ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের তথ্য হারিয়ে ফেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।

অবশ্য পাড়িকরের এ মন্তব্যের আগে থেকেই সাইবার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সম্প্রতি ভারতের তিন-বাহিনীর সমন্বয়ে ট্রাই-সার্ভিস ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি (ডিসিএ) এবং সাইবার স্পেস এজেন্সি, স্পেশাল অপারেশন্স ডিভিশন (এসওডি) গঠনে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই এজেন্সিগুলো ভবিষ্যতের সাইবার স্পেসকেন্দ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এইচএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।