ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা ইস্যুতে বেকায়দায় থাই এয়ারওয়েজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
নিরাপত্তা ইস্যুতে বেকায়দায় থাই এয়ারওয়েজ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইউরোপ ও এশিয়ায় নিষিদ্ধ হতে পারে থাই এয়ারওয়েজ। নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) গত জুলাইয়ে যে মূল্যায়ন করে, তারই সূত্র ধরে এমনই বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে সামরিক সরকার শাসিত থ্যাইল্যান্ডের এয়ারওয়েজটি।

 

১৯৯৭ সালে এফএএ’র ক্যাটাগরি-১ ভুক্ত হয় থাই এয়ারওয়েজ। কিন্তু কারিগরি দক্ষতা, প্রশিক্ষিত কর্মী, তথ্য সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৮ সালে এয়ারওয়েজটিকে ক্যাটাগরি-২ এ নামিয়ে দেয়া হয়।

সবশেষ গত জুলাইয়ে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এফএএ দেখে, থাই এয়ারওয়েজ এখনও আন্তর্জাতিক মান অর্জনে ব্যর্থ। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বর্তমান সেবা চালু রাখতে পারলেও নতুন কোনো সেবা চালুর ব্যাপারে পূর্ব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।

এফএএ’র ক্যাটাগরি-২ এ থাকায় নতুন সেবাও চালু করতে পারছে না থাই এয়ারওয়েজ।

এ কারণে থাই মালিকানাধীন এয়ারএশিয়া এক্স, নক্সকট ও এশিয়া আটলান্টিক এয়ারলাইন যুক্তরাষ্ট্র রুটে যে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছিলো তা আর সম্ভব হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে থাই এয়ারওয়েজের নতুন চালু করা পাঁচটি উড়োজাহাজকেও বাতিল করতে হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের মার্চে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় থাই নিবন্ধনকৃত নতুন কোনো এয়ারলাইন্স চলাচলে অনুমতি না পেলেও থাই এয়ারওয়েজকে ‘বিশেষ সুবিধায়’ চলাচলের সুযোগ দেয় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)।  

নিরাপত্তা ইস্যুতে গত জুনে থাই এয়ারওয়েজকে লাল তালিকাভুক্ত করে আইসিএও। যা এয়ারওয়েজটিকে অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিবুতি, ইরিত্রিয়া, জর্জিয়া, হাইতি, কাজাখস্থান, লেবানন, মালাউয়ি, নেপাল, সিয়েরালিওন ও উরুগুয়ের তালিকায় নিয়ে আসে।

যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো থাই এয়ারওয়েজের উপর এখন পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।

ইউরোপিয়ান এভিয়েশন নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় কোনো দেশ হিসেবে উড়োজাহাজ চলাচলের অনুমতির জন্য থাই এয়ারওয়েজ আবেদন করলে গত অক্টোবরে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখি। সে সময় আমরা কোনো সমস্যা পাইনি।

এর আগে ফিলিপিন্স এয়ারলাইন্সকেও ক্যাটাগরি-২ নামিয়ে আনে এফএএ। এরপর ২০১০ সালে এয়ালাইন্সটি একই ‘ছাড়পত্র’ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যদিও ২০১৩ সালে তা উঠিয়ে নেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
জেডএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।