ঢাকা: সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে দিল্লির অ্যাসেম্বলি একটি প্রস্তাব পাস করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্টও তাতে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) দিল্লির অ্যাসেম্বলিতে বিলটি পাস হয়। এর ফলে এই সংসদের সদস্য ও মন্ত্রীরা আগের চেয়ে চারগুণ বেশি বেতন পাবেন। উল্লেখ্য, দিল্লি অ্যাসেম্বলির ৭০ আসনের ৬৭টিই ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) দখলে।
তবে বেতন বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যরা খুশি হলেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এর জবাব দিতে তাই বিলটি পাসের পরপরই তিনি বলেছেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর বেতন কম হয়ে থাকে, তাহলে তাও বাড়ানো উচিত।
তিনি বলেন, তারা (বিরোধীরা) বলছে, এই বিল পাসের ফলে আমার বেতন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে তা খুবই অন্যায্য। প্রধানমন্ত্রীরও বেতন বৃদ্ধি হওয়া উচিত। প্রশ্নটা হলো, এতো কম বেতন দিয়ে তিনি কিভাবে সব চালিয়ে নেন?
কেজরিওয়াল বলেন, এএপি সংসদ সদস্যরা অন্য দলগুলোর নেতাকর্মীদের মতো দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে না। কাজেই বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে তাদের বেতন নির্ধারিত হওয়া জরুরি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের বেতন ১২ হাজার রুপি (১৪ হাজার টাকা)। এ বেতন সর্বনিম্ন কর্মদক্ষতার একজন শ্রমিকের মজুরির চেয়েও কম। আপনি কিভাবে এই ১২ হাজার রুপির মধ্যে সবকিছু হয়ে যাবে বলে আশা করেন?
কেজরিওয়াল আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার রুপি (৫৮ হাজার ৭শ টাকা) করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে ৫০ হাজার রুপির অন্যান্য সাংবিধানিক ভাতা। অর্থাৎ মাসে এখন থেকে এক লাখ রুপি (১ লাখ ১৭ হাজার টাকার কিছু বেশি) করে পাবেন সংসদ সদস্যরা। এটা কি খুব বেশি? ভাতার বেশিরভাগই তো স্টাফদের বেতন ও জ্বালানি খরচে ব্যয় হয়ে যাবে। সংসদ সদস্যদের কাজ করতে কোনো অর্থ লাগে না?
এর আগে গত জুলাইয়ে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেতন বৃদ্ধির দাবি ওঠে দিল্লির অ্যাসেম্বলিতে। ২০১১ সালের পর তাদের বেতন না বাড়ায় সংসার চালাতে ও অফিস পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে সে সময় জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
আরএইচ