ঢাকা: সন্ত্রাসীদের পরাজিত করতে মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একইসঙ্গে যারা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর লড়াই অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ওয়াশিংটন ডিসির ওভাল কার্যালয়ে ভাষণ দানকালে এ কথা জানান। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তৃতীয়বারের মতো ওভাল কার্যালয়ে ভাষণ দিলেন তিনি। সাধারণত অন্য প্রেসিডেন্টদের মতো ওবামাকেও সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে দেখা যায়।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে বন্দুকধারী দম্পতির হামলায় ১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে ওবামার এ ভাষণ। ওই হামলাকে ‘সন্ত্রাসের শামিল’ মন্তব্য করে প্রেসিডেন্ট বলেন, তারপরও ভয়ের চেয়ে শক্তিশালী স্বাধীনতা।
চরমপন্থিরা আমেরিকান সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র যাওয়া বন্ধে আইন আরও কঠোর করা।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি কাটিয়ে উঠবে, এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওবামা সতর্ক করেন, আমেরিকানদের উচিত হবে না এই লড়াই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামের মধ্যে চলছে বলে কাউকে মন্তব্য করার সুযোগ দেওয়া।
সন্ত্রাস দমনে সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা যদি সন্ত্রাস পরাজিত করতে সফল হতে চাই, তাহলে আমাদের মুসলিম বন্ধুদেরও সঙ্গে রাখতে হবে। তাদের সন্দেহ ও ঘৃণার নজরে রাখা যাবে না। মুসলিম-আমেরিকানরাও যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের অংশ।
মুসলিমদের বিভাজিত করলে সেটা সন্ত্রাসীদেরই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে বলেও সতর্ক করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যেকোনো ক্ষেত্রে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে আমেরিকানদের লড়াইয়ের শক্তির জানান দিয়ে ওবামা বলেন, প্রয়োজনে যে কোনো দেশের সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকারীদের দমন করবে আমাদের সামরিক বাহিনী।
এসময় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নীতি আরও কঠোর করার কথা উল্লেখ করে ওবামা জানান, ইতোমধ্যেই তিনি স্টেট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসীবাদীদের প্রবেশ ঠেকাতে ভিসা সংক্রান্ত রীতি-নীতিও খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
এইচএ/