ইংল্যান্ড: ইল্যান্ডের নটিংহাম শায়ারের এক মা তার জরায়ু মেয়েকে দান করতে প্রস্তুত।
একটি লাইটিং কোম্পানির পরিচালক মা ইভা অটোসসন(৫৬) জানান, ডাক্তারা অনুমতি দিলে অপারেশনের মাধ্যমে তিনি তার জরায়ু মেয়ে সারাকে দিতে চান।
কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন এ বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে দাতা এবং গ্রহীতা দুজনের জীবনই বিপন্ন হতে পারে। তারা আরো বলছেন, এ বিষয় নিয়ে কাজও হয়েছে সামান্যই। জরায়ু প্রতিস্থাপন কেবল ইদুরের ক্ষেত্রে হয়েছে-তাও পরীক্ষামূলকভাবেই। তারা আরো জানান, মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি এখনও উপযুক্ত নয়।
মা ইভা অটোসসন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি জানি বিষয়টি খুবই ঝুকিপূর্ণ। কিন্তু আমি চিকিৎসকদেরকে বিশ্বাস করি। আমি জানি তারা কী করে। আমি আমার মেয়েকে নিয়েও উদ্বিগ্ন।
সারা অটোসসন পেশায় একজন জীববিজ্ঞানের শিক্ষিকা। সারা যে সসম্যায় আক্রান্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের তাকে বলে মেয়ার রকিটানসকি কিসটার হ্যাজার(এমআরকেএইচ)। যাতে প্রজনন ক্ষমতা জন্মে। কিন্তু পরিপূর্ণতা লাভ করে না। পাঁচ হাজারের মধ্যে একজন এই ধরণের শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে জন্মে।
কিন্তু কেন এটা ঘটে এ সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। সারা কিশোরী বয়সে এই সমস্যা সম্পর্কে প্রথম বুঝতে পারেন যখন দেখলেন তার মাসিক হচ্ছে না।
২০০০ সালে সৌদি আরবের চিকিৎসকরা একজন মৃত মহিলার জরায়ু ২৬ বছর বয়সী একজন মহিলার দেহে প্রতিস্থাপন করেন। কিন্তু তিনমাস ওই নারীর রক্ত পাতলা হতে শুরু করলে এবং জীবন বিপন্ন হতে শুরু করলে তা বাদ দিতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১১