ওয়াশিংটন: পাকিস্তানে সিআইএ‘র পাঁচজন তথ্যদাতাকে আটক করেছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন মেজরও রয়েছেন।
আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে আত্মগোপন করে থাকার তথ্য তারাই সিআইএকে দিয়েছে সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমে মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আত্মগোপনে থাকতে বিন লাদেনকে সহায়তায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ জড়িত নেই পাকিস্তানের এমন দাবি এ ঘটনার পরে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এ বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট পাক-মার্কিন উত্তেজনা আবারো জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আটক মেজর অ্যাবোটাবাদে লাদেন হত্যা মিশন পরিচালিত হবার এক সপ্তাহ আগে গাড়ির লাইসেন্স প্লেট পাল্টিয়ে বেশ কয়েকবার বিন লাদেনের কম্পাউন্ডে গিয়েছিলেন। ’
এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট গোয়েন্দা কমিটির সদস্যরা সিআইএ’র উপ-পরিচালক মাইকেল জে মরকেলের কাছে জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান কতোটা সহযোগিতা করছে। জবাবে মরকেল জানান, এক থেকে দশ স্কেলে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান তিন অবস্থানে রয়েছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, পাকিস্তানের সহায়তা নিয়ে মরকেলের দেওয়া মূল্যায়ন তথ্য দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি খ-চিত্র মাত্র। এটা দিয়ে পাকিস্তান প্রশাসনের সার্বিক সহায়তার চিত্র বোঝা যায় না।
সিআইএ মুখপাত্র মারি ই হার্ফ বলেন, ‘পকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী। তাদের যেকোনো সমস্যায় আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সিআইএ প্রধান পানেটার সাথে ইসলামাবাদের ফলপ্রসু সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা একটা মীমাংসাপূর্ণ অংশীদারিত্ব। আলকায়েদা এবং অন্যান্য যেসকল জঙ্গি সংগঠন আমাদের দেশ এবং জনগণের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা এক সাথে লড়বো। ’
যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসাইন হক্কানি টেলিফোনে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকারে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইএসআই এবং সিআইএ পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই কাজ করছে। তবে এই অবস্থায় আটকের ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১