ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অর্ধেক বিশ্বের ‘মালিক’ ৬২ জন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
অর্ধেক বিশ্বের ‘মালিক’ ৬২ জন!

ঢাকা: পুরো বিশ্বের অর্ধেকের ‘মালিক’ মাত্র ৬২ জন। খোলাসা করে বলা যায়, পুরো বিশ্বের যে মোট সম্পত্তি রয়েছে তার অর্ধেকেরই মালিক মাত্র ৬২ জন।

আর যে বাকি অর্ধেক সম্পত্তি রয়েছে তার মালিক পুরো জনগোষ্ঠী। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় সাতশ’ ৪০ কোটি।

একটি সমীক্ষা চালিয়ে এই খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

অক্সফামের তথ্যমতে, ২০১০ সাল থেকে ‘অতি ধনী’ লোকের সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি ডলার। যেটা বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি দরিদ্র মানুষের সম্পত্তির পরিমাণ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, করস্বর্গগুলোর (ট্যাক্স হেভেন) সহায়তায় সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা ৭০ লাখ ৭৬ হাজার কোটি ডলার অর্থ লুকিয়ে রেখেছেন। যার ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো প্রতিবছরে ১৯ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।

যেসব দেশ বা প্রতিষ্ঠানে অর্থ গচ্ছিত রাখলে কর ফাঁকি দেওয়া যায় বা অবকাশ পাওয়া যায় সেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশকে করস্বর্গ বা ট্যাক্স হেভেন বলা হয়।

এ বিষয়ে অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হেলেন জোকে বলেন, আমরা মনে করি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের জন্য ট্যাক্স ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারে বিশ্বের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন।

‘বিশ্বের এক শতাংশ জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি’ শীর্ষক অক্সফামের প্রতিবেদনটি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের চলতি বছরের বার্ষিক বৈঠক সামনে রেখে সোমবার প্রকাশ করা হয়। ২০-২৩ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

অক্সফামের প্রতিবেদনে করস্বর্গগুলোতে সরকারিভাবে ‍অভিযান চালানোর সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে ধনী-দরিদ্রে বেড়ে চলা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাভোসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।