ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে দুর্নীতিতে চাকরি গেল ১২ সেনা কর্মকর্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
পাকিস্তানে দুর্নীতিতে চাকরি গেল ১২ সেনা কর্মকর্তার প্রভাবশালী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওবাইদুল্লাহ ও মেজর জেনারেল ইজাজ শহীদ/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পাকিস্তানে দুর্নীতির অভিযোগে ১২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান (চিফ অব আর্মি স্টাফ) জেনারেল রাহিল শরিফ। বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল, এক মেজর জেনারেল, তিন কর্নেল, পাঁচ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও এক মেজর রয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) তাদের বরখাস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন এ খবর দিয়েছে। সেনা কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ঘটনাটিকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করছে সংবাদমাধ্যমটি।

ডন অনলাইনসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে দুর্নীতিবাজ হিসেবে বিশ্বের বেশ কিছু নেতার পাশাপাশি নাম উঠে আসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফেরও। এই নাম প্রকাশে নওয়াজ শরিফ ও তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল) বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা শুরু হওয়ার মধ্যে ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের’ বরখাস্ত করলেন সেনাপ্রধান।

বরখাস্ত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওবাইদুল্লাহ (জেনারেল  হেডকোয়ার্টারের জেনারেল আর্মস অ্যান্ড উইপনের ইন্সপেক্টর), মেজর জেনারেল ইজাজ শহীদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশিদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদ শাহজাদা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হায়দার ও মেজর নাজিব।

সংবাদমাধ্যম জানায়, বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল জুবাইর মাহমুদ হায়াতকে নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাদের বরখাস্ত করেন রাহিল শরিফ।

সেনাবাহিনী সূত্র বলছে, বরখাস্ত করার পাশাপাশি ওই সেনা কর্মকর্তাদের তাদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পেনশন ছাড়া তাদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এই পদক্ষেপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তবে, ‘পাকিস্তানের সমৃদ্ধি, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার স্বার্থে সর্বক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা দরকার এবং দুর্নীতিকে নির্মূল করা ছাড়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়’ বলে সেনাপ্রধান দু’দিন আগে যে বক্তব্য দিয়েছেন তারপর এই পদক্ষেপ দৃশ্যমান হলো।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনী প্রধানের এই ‘দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ও পদক্ষেপ’ পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়া নওয়াজ শরিফ ও তার সরকারের জন্যই ‘বিশেষ’ কোনো বার্তা হতে পারে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।