ঢাকা: স্ত্রীকে ‘হালকা-পাতলা’ মারধরে সম্মতি দিয়ে সরকারের কাছে একটি ‘মডেল নারী নিরাপত্তা বিল’ প্রস্তাব করে পাঠিয়েছে পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সাংবিধানিক সংস্থা কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি (সিআইআই)। ওই প্রস্তাবিত বিলে স্কুল, হাসপাতাল ও অফিসপাড়ায় নারী-পুরুষের মেলামেশাও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।
শরিয়া সংক্রান্ত ইস্যুতে সরকারকে আইনি পরামর্শ দানকারী সিআইআই ও পাকিস্তান সরকারের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার দাবিদার পাকিস্তানে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, সিআইআই’র ওই বিলে বলা হয়েছে, যদি প্রয়োজন হয়, তবে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ‘হালকা’ মারধর করতে পারবেন। আর স্কুল-হাসপাতাল-অফিসপাড়ায় নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে হবে।
বিলে শরিয়া মতে যেসব অধিকার নারীর পাওয়ার কথা তা তাদের দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া গান, নাচ ও শিল্পের নামে ভাস্কর্য বা মূর্তিও বানানোও বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।
এই প্রস্তাবিত বিলের নিন্দা জানিয়ে কায়েদ-ই-আজম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী ফারজানা বারী বলেন, এটা অসাংবিধানিক। স্বামীকে স্ত্রী মারধরের অনুমতি দেওয়াটা সবদিক থেকেই পাকিস্তানের সংসদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এতে মানুষ হিসেবে একজন নারীর অধিকার লঙ্ঘিত হবে।
তাছাড়া, নারীকে কর্মক্ষেত্রে যেতে না দেওয়ার প্রস্তাবের অর্থ তাদের শিশু অথবা ঘরের সম্পত্তির মতো দেখা হচ্ছে। পাকিস্তান বরাবরই এ ধরনের প্রস্তাবকে ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
এইচএ/