ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বৃহস্পতির কক্ষপথে পৌঁছালো ‘জুনো’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৬
 বৃহস্পতির কক্ষপথে পৌঁছালো ‘জুনো’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সফলতার সঙ্গে সৌরমন্ডলের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির কক্ষপথে একটি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। ৫ বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে যায় জুনো নামের ওই মহাকাশ যানটি।

মহাকাশ যানটি থেকে পাঠানো শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে এর উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বৃহস্পতির কক্ষপথ থেকে জুনোর পাঠানো রেডিও ম্যাসেজ ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হর্ষধ্বনিতে মেতে ওঠেন উপস্থিত বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

বিজ্ঞানীদের আশা বৃহস্পতির আরও কাছাকাছি গিয়ে তথ্য পাঠাতে সক্ষম হবে জুনো। এর মাধ্যমে সাড়ে চার বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হওয়া গ্রহটির গঠন এবং প্রকৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ হবে।

জুনোর আগে আর কোনো মহাকাশ যানের বৃহস্পতি গ্রহের এত কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ হয়নি।

গ্রহটির তেজস্ক্রিয়তা এত বেশি যে এটি যে কোনো অরক্ষিত ইলেক্ট্রনিক্স চিপকে বিকল করে দিতে পারে।

বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢোকার সময় জুনোকেও কয়েক মিলিয়ন ডেন্টাল এক্সরের সমপরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা হজম করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে টাইটেনিয়াম ধাতু দিয়ে একটি যুদ্ধের ট্যাংকের মত করেই তৈরি করা হয়েছে জুনোর আবরণ।

ফলে সহজেই বৃহস্পতির তেজস্ক্রিয়তা হজম করতে সক্ষম হয় মহাকাশযানটি।

বৃহস্পতি বা জুপিটার সৌর মন্ডলের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এটি পৃথিবী থেকে ১১ গুণ প্রশস্ত এবং ৩শ’ গুণ ভারী। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ১২ সৌরবর্ষ সময় নেয় গ্রহটি। এর একেকটি দিন পৃথিবীর হিসাবে দশ ঘণ্টার সময়।

মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামে তৈরি হওয়ার কারণে গঠনের দিক থেকে এটি একটি নক্ষত্রের মত।

চাপের মুখে এর হাইড্রোজেন কণাগুলো বিদ্যুৎ পরিবাহী তরলের মত আচরণ করলে এটি একটি বিশাল চৌম্বকক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৬
এমএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।