হামা: সিরিয়ার শহর হামাতে রোববার থেকে শুরু হওয়া সিরীয় সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৪২ জন। হামা সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হওয়ার কারণেই এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে ধারনা করছে শহরের বাসিন্দারা।
রোববারের হামলায় সেনাবহিনী ট্যাংক এবং স্নাইপার ব্যবহার করেছে।
গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশারের বিরুদ্ধে দেশটির আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ করে আসছে। এরপর থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আন্দোলন ঠেকাতে সেনাবহিনীকে মাঠে নামায়। দেশটিতে বিদ্রোহ দমনের নামে সেনাবাহিনী বাছবিচারহীনভাবে বেসামরিক মানুষ হত্যা শুরু করে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ড এযাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস।
এদিকে সিরিয়াতে মানুষ হত্যার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হামলাকে বর্বোরোচিত হামলা বলে আখ্যা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, ‘এটা সবচেয়ে রক্ষক্ষয়ী দিন। মৃতের সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। ’
অপর এক মানবাধিকার সংস্থার প্রধান আবদেল করিম রিহাই বলেন, ‘রোববারে নিরাপত্তা বহিনী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ হামলায় ১০০ বেসামরিক লোক মারা গেছে। হোমস শহরের কেন্দ্রস্থলে মারা গেছে আরও পাঁচ জন বেসামরিক এবং ইদলিব প্রদেশে মারা গেছে আরও তিন জন। ’
আবদেল আরও জানান, ‘হামলায় আহতের সংখ্যা অনেক। হাসপাতালগুলোতে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ না থাকার কারণে অনেকেই মারা যেতে পারে। ’
শুক্রবার হামা শহরে জুমার নামাযের পর প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ সরকার বিরোধী র্যালি করে। ঠিক এসময়ই প্রেসিডেন্ট বাশারের বাহিনী র্যালিতে হামলা চালায়।
অপরদিকে স্নাইপারদের গুলিতে দেইর-এজ-জরে ১৯ জন, দক্ষিণের হেরাকে ছয় জন, পূর্বের আল-বুকামালে এক জন মারা গেছে। দেইর-এজ-জরে মৃত বেশিরভাগেরই মাথায় এবং ঘাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১১