ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আরববিশ্বে রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১১
আরববিশ্বে রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা

ঢাকা: পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। কিন্তু এবারের রমজান আরব বিশ্বের কাছে একটু অন্যরকম।

বিপ্লব, সহিংসতা তার ওপরে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা সব মিলিয়ে এবারের রমজান বরাবরের মতো উৎসবমুখর না হওয়ার আশঙ্কায়ই বেশি।

সিরিয়া থেকে লিবিয়া এবং মিশর সর্বত্রই এখনও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। কাজেই রমজানে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের চিরাচরিত আরব বিশ্বকে এবার হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না।
 
সিরীয় শহর হামাতে রোববার থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৪২ জন বেসামরিক লোক। লিবিয়াতে বিক্ষোভকারীরা এখনও অস্ত্র তাক করে আছে মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের প্রতি।

সুতরাং এবার রোজাকে ভাবতে হবে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা এবং অস্থিতিশীলতার আলোকে। আবার এবারের রোজা শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের মধ্যে যখন আরব বিশ্বে প্রচন্ড গরম পড়ে। তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিশীলতার মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবারের রোজাকে একটু বিষিয়ে তুলবে। এরই মধ্যে যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

রোজায় মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলাতেও নিত্য পণ্যের দাম অন্য সময়ের চেয়ে একটু চড়া থাকে। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারে একটু উপাদেয় খাবার খেতে গিয়ে সংসারের বাজেটের একটা বড় অংশ ব্যয় হয়ে যায়।                                        

মিশরে হোসনি মোবারক বিরোধী বিক্ষোভের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম এখনও অব্যাহত রয়েছে। মিশরে খাদ্য পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় শতকরা ১৯ ভাগ বেড়েছে এ বছর।

দেশটির ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী মাহমুদ এল আসাকালানি বলছিলেন, তিনি পণ্যদ্রব্যের বাড়তি দামে হতাশ হয়েছেন।
 
কয়েকটি আরব দেশ রমজানকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে তেমন কাজ হয়নি। বাহরাইন সরকার রমজানে সেনা কর্মকর্তা, সরকারি চাকরিজীবী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।     

কাতারেরর একটি দৈনিক দ্য পেনিনসুলার মতে, কাতার কর্তৃপক্ষ গত রমজানে ২৬৭ রকমের খাদ্যপণ্য এবং অন্য ১০০ রকম দ্রব্যের দাম কমিয়েছিল। কিন্তু এবারে সে রকম  আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।

রমজানে আরেক ধরনের দূরাবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় ফিলিস্তিনিদের। গাজা উপত্যকার নয় সন্তানের জনক ৪৭ বছর বয়সী একজন স্কুল শিক্ষক আয়মান আল হোসারি বলছিলেন, ‘আমরা প্রতিবছর রমজানের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু রমজান আসলে আরেক ধরনের ভোগান্তি শুরু হয়। ’

হোসারির এ হতাশার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ঋণে জর্জরিত ফিলিস্তিনের সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের স্বাভাবিক বেতনের অর্ধেক টাকা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।