ঢাকা: ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এর ছদ্মাবরণে রীতিমত পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে হামলা চালালো ভারতীয় কমান্ডো বাহিনী!
উরির হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের মাটিতে অবস্থিত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা বা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর বিষয়ে বিস্তর চর্চা হয় ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে।
অন্তত মুখরক্ষার জন্য হলেও পাকিস্তানের মাটিতে যেন কোনো অভিযান চালানো হয় সে ব্যাপারে দলের রক্ষণশীল অংশ এবং সামরিক বাহিনীর তরফে ব্যাপক চাপ ছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর।
এর জবাবে ভারতকে কঠিন পরিণতির হুমকি দেয় পাকিস্তান। তারা জানিয়ে দেয়, সার্জিক্যাল হোক ও আর যেভাবেই হোক, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি সীমা অতিক্রম করলে ‘সর্বাত্মক’ভাবে তার জবাব দেয়া হবে। প্রয়োজনে পরমাণু হামলা চালানো হবে বলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জানিয়ে দেয় পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ভারতীয় বাহিনীর সম্ভাব্য সামরিক অভিযান নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা।
তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে চুপিসারে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে হানা দেয় ভারতীয় কমান্ডোরা।
নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে অন্তত দুই কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দাবি করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার নিন্দা জানান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
তবে তার কিছুক্ষণ পরই হামলার খবর অস্বীকার করে বিবৃতি দেয় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি সীমান্তের অভ্যন্তরে কোনো হামলা হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। যার জেরে মারা গেছেন দুই পাকিস্তানি সেনা।
উভয় পক্ষের এই দাবি-পাল্টা দাবির প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে প্রচণ্ড উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। এসব ছোটোখাটো হামলা-পাল্টা হামলার মধ্য দিয়েই যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
আরআই
** পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের ‘হামলা’, নওয়াজের নিন্দা
** ভারতীয় সীমান্তে গোলাগুলিতে ২ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত
** ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি